ভয়ডরহীন বাংলাদেশ আজ ইংল্যান্ডের মুখোমুখি
এল আর বাদল: পাঁচ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আটটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ, কোনো সুখকর ফলাফল নেই। আটটিই জিতেছে ইংলিশরা। সর্বশেষ ২০১০ সালে চট্টগ্রামে টাইগারদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড। ওই সাক্ষাতে ১৮১ রানের বড় ব্যবধানে হার মানে লাল-সবুজের দলটি। এরপর আর বেশি টেস্ট খেলা হয়নি বাংলাদেশের। ১৪ মাস আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলেছে মুশফিকরা। মিরপুর আর চট্টগ্রাম মাঠের দুই টেস্টই বৃষ্টির কল্যাণে ড্র হয়।
দীর্ঘ বিরতির পর আজ আবার মাঠে নামছে ভয়ডরহীন বাংলাদেশের টাইগাররা। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি সকাল ১০টায় শুরু হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এই সিরিজ নিয়ে দুই শিবিরেরই নানা মন্তব্য। বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিক বলছেন, সিরিজ হবে চ্যালেঞ্জিং। সেশন বাই সেশন ভালো খেললে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় স্কোর করা যাবে। ওদিকে ইংলিশ দলপতি অ্যালিস্টার কুক বলছেন, সিরিজ জিতবো -তবে চট্টগ্রামের কন্ডিশন আমাদের ভাবাচ্ছে। পাঁচ বছর আগের ইতিহাসও তিনি টেনে আনলেন। বললেন, ২০১০ সালে চট্টগ্রামে কন্ডিশন নিয়ে ভেবেছিলাম। কিন্তু সবকিছু ওভারকাম করে টেস্ট জিতেছি। এবারও আশাকরি সিরিজ জিতবো। ক্রিকেটের ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে কুক বলেন, বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পায়নি। অন্যদিকে আমরাও গত কিছুদিন বাইরের কন্ডিশনে খেলেনি। বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশন আমাদের জন্য আদর্শ নয়। তারপরও এর সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হক ক্রিজে টিকে থাকলে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০০‘র উপরে রান করা মোটেও কষ্টের হবে না। এমনটাই মনে করেন টাইগার কোচ চন্ডিকা হাতুরু সিংহে। তিনি বলেন, আমরা হারার আগে হারতে চাই না। টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত একটি দল। ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে জানে মুশফিকরা। আমি বিশ্বাস করি সেশন বাই সেশন ভালো খেললে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজটি চ্যালেঞ্জিং হবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম