আরাফাত হোসেন: অধিকাংশ বিষয়ে হিলারি ও ট্রাম্পের মত পরস্পরের বিপরীত। কিন্তু এমন তিনটি বিষয় আছে যেখানে দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী পরস্পর একমত।
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিরোধিতা: ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমকগুলোর মধ্যে একটি হলো, উভয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মুক্ত বাণিজ্যের বিরোধী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প আর হিলারি দুইজনই ঘোষণা করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তারা ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) চুক্তি আটকে দেবেন, যদিও এই চুক্তি নিয়ে যাবতীয় আলাপ-আলোচনা ইতিমধ্যেই সাঙ্গ।
ব্যাপারটা লক্ষ্যণীয়, কেননা, যেমন ডেমোক্রেট, তেমনি রিপাবলিকানরা প্রথাগতভাবে মুক্ত বাণিজ্য সমর্থন করে এসেছে। রিপাবলিকান দল তো চিরকালই নিজেদের মুক্ত বাণিজ্যের প্রবক্তা হিসেবে গণ্য করে। ডেমোক্রেটরা মুক্ত বাণিজ্য সম্পর্কে অতটা উৎসাহী না হলেও, বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সি চলাকালীন উত্তর আমেরিকা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির মতো বিতর্কিত বিল পাস হওয়ার পেছনে ছিল ডেমোক্রেটরা।
দ্বিতীয়ত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি ক্লিনটন নিজেই টিপিপি সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। তবে ডেমোক্রেট প্রার্থী নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে বার্নি স্যান্ডার্সের মুখোমুখি হয়ে তিনি তার অবস্থান বদলাতে বাধ্য হন। কাজেই হিলারি টিপিপি বিরোধী।
যুক্তরাষ্ট্রের অবকাঠামোয় বিনিয়োগ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাস্তাঘাট, সেতু এবং জলপথগুলোর জীর্ণদশা। কাজেই অবকাঠামোর উন্নতি ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উভয়ই।
হিলারি জানিয়েছেন, তিনি অবকাঠামোর আধুনিকীকরণে পাঁচ বছরে মোট ২৭৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবেন। ট্রাম্প বলেছেন, আমি অবকাঠামোর উন্নতিসাধনে তার দ্বিগুণ ব্যয় করবো ।
সাম্প্রতিক এক জরিপে ৬৮ শতাংশ রিপাবলিকান, ৭০ শতাংশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও ৭৬ শতাংশ ডেমোক্রেট ভোটাররা এই মত প্রকাশ করেছেন যে, ওয়াশিংটনের দেশের অবকাঠামোর উন্নতি ঘটানো উচিৎ।
যুদ্ধফেরত সৈন্যদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা: ট্রাম্প ও ক্লিনটন, উভয়ই তথাকথিত ‘ভেটারানস’ হেলথ অ্যাডমিনস্ট্রেশনের আমূল সংস্কার করে যুদ্ধফেরত মার্কিন সৈনিকদের জন্য উন্নততর স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করতে চান।
কাজটা খুব সহজ হবে না কারণ দেশের প্রায় ২ কোটি সাবেক সৈন্য ও তাদের পরিবারের ভোট খুব কম নয়। সূত্র: ডয়েচে ভেলে। সম্পাদনা: শাহীন