আবুল বাশার নূরু: আওয়ামী লীগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম সভাপতিম-লী। এখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য রাখা হয়। খ্যাতিমান রাজনীতিক অধ্যাপক পুলিন দে দীর্ঘদিন সভাপতিম-লীর সদস্য ছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগে নতুন যোগ দিয়েই পুলিন দের জায়গায় আসেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ২০০৯ সালের জাতীয় কাউন্সিলে বাদ দেওয়া হয় তাকে। সতীশ চন্দ্র রায়কে সভাপতিম-লীর সদস্য করা হয়। টানা সাতবছরে জাতীয় রাজনীতি কিংবা দলীয় রাজনীতিতে কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারেননি সতীশ।
সুরঞ্জিতের জায়গায় সতীশ শতভাগ ব্যর্থতা বলেই মন্তব্য করেন দলটির নেতাকর্মীরা।
সংবিধান ও সংসদ পরিচালনা সম্পর্কে প্রজ্ঞা, মেধাসম্পন্ন রাজনীতিক হিসেবে এক নম্বরেই উচ্চারিত হয় সুরঞ্জিতের নাম। সংসদে তিনি যখন বক্তব্য রাখেন সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্যরা চুপচাপ তার বক্তব্য শুনেন। সংসদে প্রতিপক্ষকে যুক্তির মারপ্যাঁচে ঘায়েল করতে সুরঞ্জিতের বিকল্প সুরঞ্জিতই। যেকোনো জনসভায় তিনি বক্তব্য রাখতে দাঁড়ালেই দর্শকরা উল্লাস করতেন।
সতীশ চন্দ্র রায় প্রবীণ রাজনীতিবিদ। দিনাজপুর জেলার রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। একাধিকবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল সতীশকে। এলাকার রাজনীতি ক্রমেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। বয়সের ভারে অনেকটা রাজনীতি থেকে দূরে চলে গেছেন সতীশ।
আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে সভাপতি সভাপতিম-লী থেকে সতীশ বাদ পড়তে যাচ্ছে এমন আলোচনা জোরালো হয়ে উঠেছে। এই পদে সংখ্যালঘুদের মধ্য নতুন মুখ কে আসছেন তা নিয়ে নানান জল্পনা শুরু হয়েছে।