সুনামগঞ্জ সীমান্তে তক্ষক পাচারকারী সিন্ডিকেট সক্রিয়
রাজু আহমেদ রমজান, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জ সীমান্তের সর্বত্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে তক্ষক পাচারকারী সিন্ডিকেট চক্র। বিরল বন্য প্রজাতির প্রাণী ‘তক্ষক’ পেলেই কোটি টাকা এই ধান্দায় সীমান্তের সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছে পাচারকারী সিন্ডিকেট চক্র। আবার অনেকেই সর্বহারা সেজেছেন এই চক্রের কবলে পড়ে। চলতি বছরে এই সীমান্তে বেশ কয়েকজন তক্ষক পাচারকারী আটক এবং কোটি কোটি টাকা মূল্যের তক্ষক জব্দ করা হলেও অধরা রয়ে গেছে তক্ষক সিন্ডিকেটের গডফাদার ও স্থানীয় এজেন্টরা।
জানা যায়, সিন্ডিকেটের অধিকাংশ সদস্যই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের। স্থানীয় এজেন্টদের মারফতে চক্রটি তক্ষক সংগ্রহের কাজ করে। অপর একটি সূত্র জানায়, জেলা সদর হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সিন্ডিকেট চক্রের অবাধ বিচরণ থাকলেও বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হওয়ায় অনেকটা কোণঠাসা এই সিন্ডিকেটচক্র। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিপন্ন প্রজাতির এই প্রাণীর অবস্থান বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী ভারতবর্ষের ঝুপ-জঙ্গলে। দেশের সর্বত্র প্রাণীটির বিচরণ হলেও সীমান্ত অঞ্চলে পাওয়া যায় বেশি। বাংলায় এটি অঞ্চলভেদে গিরগিটি, তক্ষক, রক্তচোষা, আনজিলা ও শান্ডা নামে পরিচিত।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত ১১ অক্টোবর জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মাছিমপুর সীমান্ত এলাকা থেকে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের একটি তক্ষক সহ দুইজনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- রাজধানীর মুগদা থানার পূর্ব মানিকনগর এলাকার মনু মিয়ার ছেলে আশিক রাসেল ওরফে আরিফ ও হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের আব্দুল শহীদের ছেলে শামছুল আলম। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত দু’জনকে বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। বিজিবি জানায়, দন্ডপ্রাপ্ত দু’জন পাচারকারী সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য। দেশজুড়ে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত। সম্পাদনা: তারেক