বড়লেখায় এক মাসে আ.লীগ নেতাসহ ৫ খুন
স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গত এক মাসে ৫টি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক নৃশংস হত্যাকা-ের ঘটনায় সাধারণ মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। একটি খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটছে আরেকটি খুন। আ.লীগ নেতা, ব্রিটিশ নাগরিকের পর সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর জমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে আপন ভাতিজার হাতে আসুক আহমদ নামের এক অটোরিকশাচালক নির্মমভাবে খুন হন। এসব খুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করলেও সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ে কারণে এ ধরনের হত্যাকা- ঘটছে বলে সচেতন মহল মনে করেন। পৃথক এসব হত্যাকা-ের ঘটনায় এ পর্যন্ত পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানালেন অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
জানা গেছে, ১৪ অক্টোবর শুক্রবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামে দুপুরবেলা জমি সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে আপন ভাতিজার ছুরিকাঘাতে আসুক আহমদ (৩৬) নির্মমভাবে খুন হন। ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম গুলুয়া গ্রামের মৃত ললিত মোহন দাসের স্ত্রী মায়া রানী দাসকে (৫৫) নিজ গৃহে ঢুকে কাচি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ভাসুরপুত্র নিপেশ দাস সুনাই (২৫)। ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশ্যে দিবালোকে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আলমকে (৩৮) দা দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কাজল আহমদ (৪৭) নামের স্থানীয় সন্ত্রাসী। এই ঘটনায় আবুল হোসেন আলমের বাবা খলিলুর রহমান রাতে কাজলকে প্রধান আসামি ও আরো চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উপজেলার চান্দগ্রামের নিজ বাড়িতে ঈদের দিবাগত রাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক ফাতির আলীর স্ত্রী প্রবাসী মায়ারুন নেছা (৬৬) পুত্রবধূর পরকীয়ার জেরে খুন হন। এ ঘটনায় নিহতের দেবর হারিছ আলী দু’জনের নাম উল্লেখ ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা করেন। একই দিন ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উপজেলার চান্দেরগুল গ্রামের আব্দুল মতিনের বাড়িতে কোরবানির মাংস বন্টন নিয়ে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে কুতুব আলী নামক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সম্পাদনা: তারেক