হাসান: ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার করেছে চীন। ভারতের সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে যে সব পোস্ট দেখা যাচ্ছে, তার প্রতিক্রিয়াতেই বেজিং-এর এই বিষোদ্গার। কমিউনিস্ট সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ লেখা হয়েছে, ‘ঘেউ ঘেউ’ করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই নয়াদিল্লির। কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত-পাক উত্তেজনা যেমন বেড়েছে, তেমন ভাবেই ভারত-চীন সম্পর্কেও তিক্ততা তৈরি হয়েছে। চীন বার বার পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর জেরেই ভারতের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যেই জইশ-প্রধান মাসুদ আজহারের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার চেষ্টা চীন ভেস্তে দিয়েছে। ফলে ভারতীয় জনমানসেও চীন সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক, টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে অনেকে চীনা পণ্য বয়কট করার আহ্বান রেখেছেন ভারতবাসীর সামনে। জনমানসে যে এই রকম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, সে খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং মিডিয়ায় চীনা পণ্য বয়কট সংক্রান্ত এই চর্চা দেখে চটে গিয়েছে চীন। গ্লোবাল টাইমসে সে সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ‘‘সম্প্রতি ভারতীয় মিডিয়ায় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় চীনা পণ্য বয়কট করা সম্পর্কে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। এটা হল লোকজনকে ক্ষেপানোর চেষ্টা।’’গ্লোবাল টাইমসে লেখা হয়েছে, চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে ভারতের কোনো লাভ হবে না। সংবাদপত্রটির মতে, ‘‘ভারতের উৎপাদন শিল্প চীনা পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কোনোভাবেই পেরে উঠবে না।’’ভারত এবং তার শাসন ব্যবস্থার তীব্র নিন্দা করেছে চীনের এই সরকারি সংবাদপত্র। লেখা হয়েছে- ভারতে প্রতিটি সরকারি বিভাগ চূড়ান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত, ভারতের সরকার এখনও দেশে রাস্তাঘাট ঠিক মতো তৈরি করতে পারেনি, ভারতে পানীয় জলের তীব্র অভাব। এতেই থামেনি গ্লোবাল টাইমস। সৌজন্যের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি যে ভাবে বেড়ে চলেছে, তা নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যত ঘেউ ঘেউ করতে চায় করুক। কার্যক্ষেত্রে তাদের কিছুই করার ক্ষমতা নেই।’’ চীনা সংস্থাগুলোকে ভারতে বিনিয়োগ না করার পরামর্শও দিয়েছে গ্লোবাল টাইমস। লেখা হয়েছে, ভারতের শ্রমিকরা একেবারেই দক্ষ নয় এবং পরিশ্রমীও নয়। তার পাশাপাশি ভারত খুব দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ। তাই ভারতে বিনিয়োগ করা উচিত নয়।-আনন্দবাজার। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন