বীরেন্দ্র কিশোর, বরগুনা: জলদস্যু প্রধান আলমগীর শেখ সাগরসহ ১৩ জলদস্যু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে ২০টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৯৬ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
জমা দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছেÑ আটটি বিদেশি একনালা বন্দুক, তিনটি দেশি একনালা বন্দুক, একটি বিদেশি দোনালা বন্দুক, দুটি পয়েন্ট ২২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, চারটি এলজি ও দুটি বিদেশি কাটা রাইফেল।
আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা হচ্ছেনÑ সাগর বাহিনীর প্রধান আলমগীর শেখ ওরফে সাগর (৩৫), এ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড কামরুল ফকির (২৭), আবদুল মালেক (৩৮), কাদের শেখ (৩৮), হাফিজুর রহমান শেখ (৪৬), কবীর শেখ (৩৪), দেলোয়ার শেখ (৩৮), হাসান সরদার (২২), নান্না ফকির (২৯), তৌহিদুল ইসলাম (৪৩), রাজু শেখ (২৮), লিটন হাওলাদার (৩৪), তরিকুল গাজী (৩২)। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে।
জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেনে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহম্মেদ, বরিশালের ডিআইজি মো. আকরাম হোসেন, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন একরাম হোসেন, বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মহা. বশিরুল আলম, জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর কবির, দস্যুবাহিনী প্রধান আলমগীর শেখ সাগর ও জলদস্যুদের গুলিতে পা হারানো জেলে নান্টু মিয়া। সভাপতিত্ব করেন, র্যাব-৮ বরিশালের পরিচালক ইফতেখারুল মাবুদ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বাংলাদেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সুন্দরবন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও ইকোনমিক জোন। এ এলাকাকে বিপদমুক্ত রাখতে সরকারও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এজন্য এ এলাকায় র্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বনদস্যু, জলদস্যু কিংবা জঙ্গি কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ বলেন, আর দু-একটি বাহিনী রয়েছে। তারা আত্মসমর্পণ না করলে তাদেরও নির্মূল করা হবে। এরপরই ধরা হবে গড ফাদারদের। তাদের মুখোশ জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।