পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও একজন মনিরুল ইসলাম
সৈয়দ রশিদ আলম
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম, টিভি পর্দায় যাকে প্রায়ই আমরা দেখতে পাই। সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে তিনি ইতোমধ্যে নিজেকে সর্বোচ্চ সম্মানের চূড়ায় নিয়ে গেছেন। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশি মিডিয়াতেও তিনি পরিচিত মুখ। প্রয়োজন ছাড়া একটি কথাও তিনি বলেন না, যা বলেন তাতেই জঙ্গিবাদীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। কীভাবে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্ববাসীর কাছে ধরে রাখা যাবে, তা তিনি ভালো করেই জানেন। আর জানেন বলেই দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে তিনি অভ্যস্ত। বিশ্বের সকল দেশেই পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট রয়েছে, এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই, ভারতের সিবিআই ও ইসরাইলের সিনবেত অন্যতম সুনাম অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। গুলশানে, গাজীপুরে, টাঙ্গাইলে, আশুলিয়াসহ সারা বাংলাদেশে যেখানে জঙ্গিবাদ পৌঁছে গেছে, সেখানেই তাদেরকে দমন করার জন্য পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট পৌঁছে গেছে।
ইউরোপ আমেরিকার একাধিক দেশে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ, সেখানে বাংলাদেশ পুলিশবাহিনী কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ততটাই সক্ষম। এটা সম্ভব হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশবাহিনীর দৃঢ় মনোবল দেশপ্রেমের কারণে। বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর এই সাফল্য বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করছে, অনুকরণ করছে। ইংল্যান্ডের টিকেট টিম ও চীনের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশবাহিনীর সাফল্য চোখে পড়ার মতো। যে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছিল না, আগামী বছর তারা বাংলাদেশ সফরে আগ্রহ দেখাচ্ছে। শতভাগ নিরাপত্তা পুলিশবাহিনী যদি না দেখাতে পারত, তাহলে বিদেশি অতিথিরা বাংলাদেশে আসতেন না। কিছু কিছু প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের অপপ্রচার পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছে।
আগামীতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করার জন্য একটি চৌকস কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট প্রয়োজন পুলিশের। প্রয়োজনে এই বাহিনীকে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করতে সক্ষম, কামান ও মেশিনগান সজ্জিত হেলিকপ্টার, সাইলেন্সারসজ্জিত দূরপাল্লার ও মাঝারি পাল্লার অটোমেটিক রাইফেল ও রাতে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম সমরাস্ত্র প্রয়োজন। তাহলে বাংলাদেশে সফরকালীন অবস্থায় বিদেশি অতিথি, পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের আমাদের গর্বের পুলিশবাহিনী ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট নিরাপত্তার সর্বোচ্চ দিতে পারবে। মনিরুল ইসলামের মতো সৎ, লড়াকু পুলিশ অফিসাররা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে সফল হবেন আগামীতেও, এটা আমাদের বিশ্বাস।
লেখক: কলামিস্ট / সম্পাদনা: আশিক রহমান