অসাধু সিম ব্যবসায়ীদের বলতে চাইÑ আর কত?
রহমান শেলী
যারা সিম ব্যবহার করছেন, সবার সিম রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। অর্থাৎ আপনার পরিচয় ও পরিচিতি এখন সহজে চিহ্নিত করা যাবে। এতে আপনাকে খুঁজে পাওয়া সহজ হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা হলো, যদি আপনার আইডির সিম অন্য কারও হাতে চলে যায়। এটা যে কত বড় সমস্যা হতে পারে, তার কয়েকটি উদাহরণ দিচ্ছি। এক. যদি কেউ আপনার আউডির সিম ব্যবহার করে কাউকে হুমকি দেয়, পুলিশ খুঁজবে আপনাকে। দুই. এই সিম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করলে পুলিশ ধরবে আপনাকে। তিন. সিমের সঙ্গে কানেকশন কিছু পেলেই পুলিশ আপনাকে খুঁজে বেড়াবে। লাইফ কত মজা, তখন বুঝবেন!
তাহলে আপনার সিম বিক্রি কিভাবে হচ্ছে? উত্তর খুঁজলে পাব, এর সংখ্যা খুবই নগণ্য। এক. আপনার রেজিস্ট্রি করার সময় এজেন্ট কয়েকবার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে রেখেছে। অথবা আপনার আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার সময় ওরা আরও কয়েকটা ফর্ম পূরণ করে রেখেছে। পরবর্তীতে অপরাধীদের কাছে তা বেশি দামে বিক্রি করছে। দুই. কেউ সিম রেজেস্ট্রি করার পর একটু বেশি টাকার আশায় নিজের সিম বিক্রি করে দিলেন। তিন. হারিয়ে গেলে। এই তিনভাবে সিম চলে যায় অপরাধীদের হাতে। আর অপরাধীরা তাদের কাজ সেরে সিম ভেঙে ফেলে দেন। কিন্তু তাতে কী আর রেকর্ড মুছে যায়? যায় না। যার সিম তাকে খুঁজে বের করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাকে। অপরাধ প্রমাণ যেহেতু সময় সাপেক্ষ, তখন আপনাকে জেল-জরিমানা গুনতেই হচ্ছে। সিম হয়তো দুই-চার-পাঁচশ টাকায় বিক্রি হলো, কিন্তু আপনার গেল দুই-চার লাখ টাকা। কোর্ট-কাচারি মামলা-মোকদ্দমা। মান-সম্মান তো যাবেই।
সামান্য লাভের জন্য যারা এখনো এই সিম বিক্রি করছেন, তারা একটু ভাবুন তো কত বড় অন্যায়টা করছেন!
সিম রেজিস্ট্রি হওয়ায়, সিম ব্যবহার করে যারা অপরাধ করছে, তারা এখন ধরা পড়ছে। সবাইকে রেজিস্ট্রির আওতায় নিয়ে আসাটা একটা চমৎকার কাজ হয়েছে। তাই, অসাধু সিম ব্যবসায়ীদের বলতে চাই, আর কত? এবার একটু ভাবুন, কী করছেন আপনি? একজন নিরাপরাধীকে অপরাধী বানাচ্ছেন…।
লেখক: সাহিত্যিক ও এডিশনাল এসপি
সম্পাদনা: আশিক রহমান