কোচিং-বাণিজ্যে দুশ্চিন্তায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ জেলাসহ ৫টি উপজেলায় চলছে কোচিং বাণিজ্যে। শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকরা। সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ছে। স্কুল ছুটির পর বদলে যায় এখানকার পরিবেশ। অনেকটা খোলামেলা ভাবেই শুরু হয় কোচিং বাণিজ্য।
বর্তমানে শিক্ষকরাই ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের এক প্রকার বাধ্য করেই শিক্ষার্থীদের কোচিং ক্লাসে নিয়ে আসছে।
সরেজমিনে গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যে। সে দিকে নজর নেই প্রশাসনের। এ চিত্র শুধুমাত্র গোপালগঞ্জে নয়, পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ বিধি নিষেধ চালু করলেও তা এখন পর্যন্ত বন্ধ হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে এক আবেদনে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ জানানো হলে তা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ সকল ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদনটি আলোর মুখ দেখেনি। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, কোচিং সেন্টারগুলোর সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টার পদে রয়েছেন প্রভাবশালীরা। ফলে সরকারের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যেই কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। অনেক ক্ষেত্রে স্কুলের ক্লাস রুমে কোচিং চালিয়ে পূর্বের মতোই অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর এ সব কাজে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক রয়েছেন মুখ্য ভূমিকায়।
বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী লায়লা খাতুন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র এস এম রাহাতল ইসলাম জানায়, স্কুলের আগে ও পরে তাদেরকে পড়তে হয় চারজন শিক্ষকের কোচিং ক্লাসে।
ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, স্কুলের শিক্ষকরাই এ সব কোচিং নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। স্কুলের শ্রেণী কক্ষে এখন আর ক্লাস হয় না। তাই কোচিং সেন্টার ও টিউটোরিয়াল হোমই একমাত্র ভরসা।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং এর সাথে জড়িত। তার পর জেলা ও উপজেলা শহর গুলির অলি গলিতে রয়েছে অসংখ্য কোচিং সেন্টার। সম্পাদনা : তারেক