এম রবিউল্লাহ: উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ২০১৬ সালে বিভিন্ন অভিযোগ এনে দেশটির ৬৪ জন কর্মকর্তাকে জনসমক্ষে মৃত্যুদ- কার্যকর করেছেন। উনের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাকতার অভিযোগেই অধিকাংশ মৃত্যুকার্যকর করা হয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম নেতা উন ১৩৪ জনকে হত্যা করেছিলেন বলেও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থায় উল্লেখ করা হয়। নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় অবহেলার জন্যই হত্যার নির্দেশ দেন উন।
উনের বাবাও উত্তর কোরিয়া শাসন করেছিলেন। তার বাবাও শাসনামলেও দেশটির নাগরিকদের বিনা কারণে হত্যা করা হতো। তার বাবার আমলের চেয়ে বেশি পরিমাণ বিনা অপরাধে হত্যার মতো সাজা দেওয়া হচ্ছে বলেও দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়।
ক্ষমতায় আসার পর উন তার আপন ফুফাকে মৃত্যুদ- দেওয়ার পর নতুন করে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ে উত্তর কোরিয়ার উপর। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার পর জাতিসংঘ দেশটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
গত বছরের এপ্রিলে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জনসমক্ষে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। তার অপরাধÑ একটি সামরিক বৈঠকে ঝিমিয়ে পড়ার কারণে তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। তার সামনে ঘুমিয়ে পড়াকে তিনি বেয়াদবি হিসেবে গণ্য করেন। একই সঙ্গে ঝিমিয়ে পড়াকে তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল বলে মনে করেন।
২০১২ সালে হায়ং ইয়ং কোল নামে ৬৬ বছরের উত্তর কোরিয়ার প্রধান সামরিক কর্মকর্তাকে কয়েকশ সামরিক বাহিনীর সামনে রাজধানী পিইয়ং ইয়ংয়ে গুলি করে ঝাঝরা করে হত্যা করা হয়। সূত্র: ডেইলি মেইল