আসাদুজ্জামান স্টালিন, জলঢাকা (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় গত শুক্রবার গভীর রাতে শ্বশুরবাড়িতে বন্দি অবস্থায় এক গৃহবধূকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তেেপ তালা ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত গৃহবধূর নাম পারভীন আক্তার(২০)। ঘটনাটি উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের হাফিজিয়া তহশীলদার পাড়ায়। বন্দিদশা থেকে উদ্ধার হওয়া পারভীন জানান, আমার বিয়ে হয় ২০১৪ সালে। বিয়ের পর হতে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন শুরু হয়। বর্তমানে দেড় বছরের একটি মেয়ে সন্তান আমার কোলে।বিয়ের পর হতে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির চলতে থাকে অবিরত নির্যাতন। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সে আমাকে ঘরের ভিতর তালা দিয়ে অন্য এক মেয়েকে নিয়ে উধাও হয়। এ অবস্থায় শ্বশুর-শাশুড়ি দেয়নি খাবার। এমনকি তাদের নিকট অনেক মিনতি করেও আমি বন্দিদশা হতে মুক্তি পাইনি।
নির্যাতিতার মা কবিতা বেগম জানান, তাদের বিয়ের পর মেয়ের সুখের জন্য নগদ দুই লাখ টাকা, একটি ফ্রিজ ও একটি গাভি দেই। তারপরেও থামেনি নির্যাতন। শেষে আমার মেয়েকে ঘরে তালা দিয়ে অন্য মেয়ে নিয়ে জামাই পালিয়েছে।
এবিষয়ে জলঢাকা থানা ওসি(তদন্ত) মফিজ উদ্দীন শেখ জানান,ইউএনও স্যারের সহযোগীতায় বন্দিদশা থেকে গৃহবধু পারভীনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার প হতে মামলার প্রস্তুতি চলছে। জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর মেডিকেল অফিসার ডা. দেবদুলাল জানান, বন্দিদশা থেকে উদ্ধার হওয়া পারভীনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঠিকমতো খাবার না পাওয়ায় সে দুর্বল হয়েছে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সম্পাদনা : তারেক