শেখ সোহারাব হোসেন, শ্যামনগর : শিশু শ্রম বন্ধে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শ্যামনগর উপজেলায় প্রশাসনের কোন উদ্দ্যোগ নেই। থেমে নেই শ্যামনগর উপজেলার শিশু শ্রম। প্রতিনিয়তই শিশুদরে কে বিভিন্ন শ্রমে নিয়োগ করা হচ্ছে।
বিশেষ করে ইট ভাটায় শিশু শ্রমিক নিয়োগে শ্যামনগর উপজেলা থেকে শিশু শ্রমিক পাঠানো একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। সরকারি নীতিমালা উপো করে শত শত শিশু শ্রমের তাগিদে ইট ভাটায় পাড়ি জমাচ্ছে। উপজেলার রমজাননগর কৈখালী মুন্সীগঞ্জ, গাবুরা, ইউনিয়নের সুন্দরবন সীমানায় অবস্থিত।
সরেজমিন ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে ৪ ইউনিয়নের অধিকাংশ গরিব ও অসহায় মানুষ সুন্দবনের আয়ের উপর অনেক পরিবারই নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বর্তমানে সুন্দরবনের বনদস্যুদের জিম্মির কবলে পড়ে অধিকাংশ বনজীবী সুন্দরবনে প্রবেশ করছে না। এই সমস্ত পরিবারের সরলতা ও আর্থিকতার সুযোগ নিয়ে অর্থলোভী ইট-ভাটার সরদার স্কুল পড়–য়া শিশুদের ইট ভাটায় শ্রমের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছে। অনেক পরিবার আছে যাদের শিশুকে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করানোর সমর্থন থাকলেও অর্থের লালসায় শিশুদের বিদ্যালয়ে না দিয়ে ইট-ভাটার সরদারদের কাছ থেকে বিশ-ত্রিশ হাজার টাকা গ্রহণ করে শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঢেলে দিচ্ছে।
শিশু শ্রম বন্ধের জন্য প্রশাসন, এলাকার সুধীজন নজরদারি করলেও সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ইট-ভাটার সরদারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ভাটায় চলে যাচ্ছে শিশু। কতিপয় ইট-ভাটার সরদার ভাটার মালিকদের নিকট থেকে প্রতিটি শিশুর জন্য চলিশ/পঞ্চাশ হাজার টাকা গ্রহণ করলেও শিশুটির পরিবারের হাতে দিচ্ছে বিশ/ত্রিশ হাজার টাকা। গরিব, অসহায় পরিবারটি তাতে অনেক আনন্দিত হয়ে শিশুকে মরণের ফাঁদে ফেলে দিচ্ছে।
নাম না বলা এক শ্রমিক আমাদের অর্থনীতিকে বলে, এ সমস্ত শিশুদের ইট-ভাটায় নিয়ে শ্রমের নামে নির্যাতনের স্বীকার করে। যদি কোন শিশু কাজ করতে না পেরে পরিবারের মাঝে ফেরত আসতে চায় তাহলে তাকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে আটকে রাখা হয়। এমনকি তাকে পানি পর্যন্ত দেওয়া হয় না। সম্পাদনা : তারেক