কাউন্সিল টক অব দ্য কান্ট্রি
আজাদ হোসেন সুমন: টক অব দ্য কান্ট্রি এখন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। অফিস-আদালত, রাজনৈতিক পরিম-ল থেকে শুরু করে ফুটপাতের চা স্টল সর্বত্রই কাউন্সিল নিয়ে আলোচনা। আর আলোচনার কেন্দ্রে আছে বঙ্গবন্ধু পরিবার। তারপরের আলোচনাটি হচ্ছে সাধারণ সম্পাদক পদ এবং কারা কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে ঠাঁই পাচ্ছে। এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশকিছু সদস্যকে করা হয়েছে কাউন্সিলর। সম্মেলন চলাকালেও কেউ কেউ বলছেন শেখ রেহানা আসছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে আবার কারও ভিতরে আলোচনা তৃতীয় প্রজন্মের উত্তরাধিকারী সজীব ওয়াজেদ জয়কে ঘিরে। পিছিয়ে নেই পরিবারের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববিও।
জমে উঠেছে শেখ রেহানা ও জয়ের কাউন্সিলর হওয়াকে ঘিরে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দুজনই নেতৃত্বে নতুন প্রজন্ম আসবেন এমন ইঙ্গিত দেওয়ায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারটির প্রতিই সবার দৃষ্টি। তবে এ নিয়ে কী হচ্ছে আর কী ঘটবে এরমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক গত রাতে জানিয়ে দিয়েছেন এ তথ্য শুধু প্রধানমন্ত্রী আর তিনিই জানেন। এ জন্য ২৩ তারিখ পর্যন্ত অপো করতে হবে। শুরু থেকেই আলোচনার ডালপালা গজায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও রাদওয়ান সিদ্দিকী ববিকে কাউন্সিলর করা হলে। তবে গত বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় পুতুল ও ববিকে কাউন্সিলর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হলে এ দুজনকে নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয় এবারই প্রথম কাউন্সিলর হলেন। তারা ২২/২৩ অক্টোবরের জাতীয় সম্মেলনে নেতা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য নূহ-উল আলম লেনিন সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তো সব সময়ই চায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বে¡ দেখতে। সেটা হোক শেখ হাসিনা অথবা অন্য কেউ। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বাইরের কেউ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবে এটা দলটির কোটি কোটি নেতাকর্মী কল্পনাই করতে পারে না।
লেনিন বলেন, আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নেতৃত্বে আসার সময় এখন। দলটি উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত সব সময়ই নিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি যা দলের জন্যে সমীচীন হবে তাই করবেন বলে আশা করি। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের কাউকে নেতা হিসেবে বরণ করে নেওয়ার জন্যে। তিনি বলেন, সারাদেশের অসংখ্য মানুষ চায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নতুন প্রজন্মের কারও অভিষেক ঘটুক। তবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার। এ সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন।
চানখারপুল এলাকার আওয়ামী লীগ সমর্থক জিলানী মিল্টন এ প্রতিবেদককে বলেন, এবারের কাউন্সিলকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিম-লে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগের পক্ষেই এ ধরনের একটি ঘটনাবহুল ও বর্ণাঢ্য কাউন্সিল করা সম্ভব। এ মুহূর্তে দল হিসেবে যেমন আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই তেমনি নেত্রী হিসেবেও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনারও কোনো বিকল্প নেই। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম