সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড- ২৯৩ ও ২২৮/৮ * বাংলাদেশ- ২৪৮* ইংল্যান্ড ২৭৩ রানে এগিয়ে সাকিবের ৫ উইকেটেও ব্যাকফুটে বাংলাদেশ
এল আর বাদল : মুশফিকুর রহিমরা লিড নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে গেল। টেস্টের তৃতীয় দিনে গতকাল সকালে ২২১ রান নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশের পাঁচ ব্যাটসম্যানের লেজেগোবরে অবস্থা। ইংলিশ বোলারদের স্পিন ফাঁদে যেন নাভিশ্বাস উঠে যায় সাকিব, সাব্বির ও মিরাজের। মাত্র ২৭ রান যোগ করে ৫ উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডকে ৪৫ রানের লিড উপহার দেয় পাঁচ ব্যাটসম্যান। লিড উপহার দেওয়ার খেসারতটা দিতে হতে পারে মুশফিকদের। অপরদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টোর দারুণ এক জুটিতে ইংল্যান্ড লিডটাকে নিয়ে যায় ২৭৩-এ। পাঁচ পাঁচটি উইকেট বিপর্যয়ের পরও এই দুই ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের লক্ষ্যটা আস্তে আস্তে কঠিন করে তোলে সফরকারীরা। স্টোকস ৮৫ আর বেয়ারস্টোর ৪৭ রানে আউট হলেও তাদের সতীর্থরা রানের বহরটা ধীরে ধীরে দীর্ঘ করে নিচ্ছেন। দিনশেষে ৮ উইকেটে ২২৮ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। হাতে প্রথম ইনিংসের ৪৫ রানের লিড তো রয়েছেই।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ৫ উইকেট শিকারেও ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে অস্বস্তিতে ফেলে দেয় মুশফিকদের। এই অস্বস্তির কারণ বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টোর ১২৭ রানের বড় জুটি। ৬২ রানের মধ্যে প্রথম সারির ৫ জন ব্যাটসম্যান হারিয়ে চাপে পড়া ইংল্যান্ডকে টেনে তোলেন স্টোকস ও বেয়ারস্টো। আজ রোববার ৮ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে নতুন করে দিনের খেলা শুরু করবেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকস। ব্রড ১০ এবং ওকস ১১ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে গতকাল সকালে মাত্র ২৭ রানে স্বাগতিক বাংলাদেশ শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রানে গুটিয়ে যায়। সবমিলে শেষ ৫৫ রানে পড়ে ৮ উইকেট। এরপর সফরকারী ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম আর মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিজাদুতে ৬২ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে। ইনিংসের প্রথম আঘাত হানেন প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের ৬ জনকে তুলে নেয়ার নায়ক মিরাজ। দলীয় ২৬ রানে অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুককে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করান তিনি। এরপর আঘাত সাকিবের। এক রান তোলার পরই জো রুটকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে সাকিব ফের আঘাত হানেন। দলীয় ২৮ রানে ফিরিয়ে দেন ১৫ করা ওপেনার বেন ডাকেটকে। এরপর দলীয় ৪৬ রানে তাইজুল ইসলাম তুলে নেন গ্যারি ব্যালান্সের উইকেট। তার বলে ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন ব্যালান্স।
মঈন আলী ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেও সফল হননি। ব্যক্তিগত ১৪ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাকিবের শিকারে পরিণত হন তিনি। এসময় দলের রান ছিল ৬২। বিপর্যয়ে পড়া ইংল্যান্ডের ইনিংসকে ধীরে ধীরে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস। তাদের ১২৭ রানের জুটি ভাঙেন টাইগার বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ৪৭ রান করা ইংলিশদের উইকেটরক ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টো বোল্ড হন। অভিষেকে এটা কামরুলের প্রথম শিকার। সাকিবের ঘূর্ণিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন স্টোকস। তিনি ৮৫ রান করেন। এরপর নিজের ৫ম উইকেট শিকার করেন সাকিব। ৯ রান করা আদিল রশিদকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন