নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিবেন না এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আগেই। কিন্তু এনিয়ে যাতে সরকারি দল কোনো সুবিধা করতে না পারে সে জন্য দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত ছিল তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে খালেদা জিয়ার তরফ থেকে। তারা হবেন মধ্যমসারির নেতা। সে হিসেবে নামও আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিএনপির তরফ থেকে কাউকে পাঠানো হয়নি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আমাদের প্রতিনিধি যাবে এমনটাই কথা ছিল। পরে কিন্তু আর পাঠানো হয়নি। কেন পাঠানো হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, না পাঠানোর সঠিক কারণটি আমার জানা নেই। আমি আর ম্যাডাম যাব না এটা সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে তিনজনের একটি দল যাবে এমনটি বলা হয়েছিল। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি আওয়ামী লীগের দাওয়াত দেওয়াকে রাজনৈতিক কৌশল বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু একটি গলতান্ত্রিক দলের মতো নয়, সরকারের মতো করে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ কাউন্সিল করে যে অনিয়ম করেছে ও অর্থ খরচের উৎসব করেছে এটা আমরা সমর্থন দিতে চাইনি। এ কারণেই যায়নি।
এদিকে আজ কেউ যেতে পারে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তেমন কোনো কিছু আমার জানা নেই। বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ একজন সিনিয়র নেতা বলেন, ম্যাডাম চিন্তা করে দেখেছেন, এখন এ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির প্রধান ও বিরোধী দলের নেতা যাচ্ছেন না। ড. কামাল হোসেন যাচ্ছেন না। এছাড়াও অনেক দেশের প্রতিনিধি এলেও সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের কেউ আসছেন না। এছাড়াও ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরই যে বিএনপির সঙ্গে সরকার এবং আওয়ামী লীগ সংলাপে বসার জন্য রাজি হয়ে যাবে তেমনটা হবে না। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন