আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বড় মাপের সাইবার হামলায় অ্যামাজন থেকে টুইটার পর্যন্ত শত শত গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ডিস্ট্রিবিউটেড ডোনাইয়াল অব সার্ভিস বা ডিডিওএস নামে পরিচিত এ হামলার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। আইআরআইবি
নির্বাচনের দিনে বড় ধরনের হামলা চালিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নজিরবিহীনভাবে ভ-ুল করার চেষ্টা হতে পারে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। হামলার মুখে যেসব ওয়েবসাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছেÑ সিএনএন, টুইটার, পেপল, ফক্স নিউজ, গার্ডিয়ান, নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট উইকিলিকস মনে করছে, তাদের সমর্থকরা এ হামলায় জড়িত ছিল। লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়গ্রহণকারী উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার প্রতিবাদে এ হামলা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি কিনটনের ই-মেইল ফাঁস করে দেওয়ার পর ওয়াশিংটনের চাপের মুখে ইকুয়েডর সরকার এ পদপে গ্রহণে বাধ্য হয়েছিল।
এছাড়া, নিউ ওয়ার্ল্ড হ্যাকার্স নামের একটি গোষ্ঠীও টুইটার বার্তায় হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তবে, কারো দাবি সম্পর্কেই স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিবন্ধে খ্যাতনামা নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ব্রুস শেনিয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদানে নিযুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রতিরা সমতা কেউ মারাত্মক প্রক্রিয়ায় যাচাই করার কাজ শুরু করেছেন। কেউ যেন এ ব্যবস্থার দুর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য প্রচ- তৎপর হয়ে উঠেছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ