সিজোফ্রেনিয়াকে মানসিক বিকৃতি বলতে নারাজ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সিজোফ্রেনিয়া মানসিক বিকৃতি নয়, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত এক মামলার রায়ে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানসিক বিকারগ্রস্তদের েেত্র মৃত্যুদ- কার্যকরে বাধা রয়েছে। তবে পাকিস্তানে ইমদাদ নামের সিজোফ্রেনিয়া আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকরে বাধা নেই বলে আদেশ দেয় পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। সবদিক বিবেচনা করার দাবি জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালত সিজোফ্রেনিয়াকে আরোগ্যযোগ্য রোগ বলে উল্লেখ করে। যদিও ‘আমেরিকান সাইকোলোজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ সিজোফ্রেনিয়াকে ‘একটি গুরুতর মানসিক অসুস্থতা’ বলে বর্ণনা করেছে। বিবিসি
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০০২ সালে একজন ধর্মীয় নেতাকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদ- দেওয়া হয় ইমদাদকে। ২০১২ সালে সরকারি চিকিৎসকরা ইমদাদ সিজোফ্রেনিয়ার আক্রান্ত বলে সনদ দেয়। তার স্ত্রী শাফিয়া বানু সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন, তার স্বামী মানসিক বিকারগ্রস্ত, আর সুস্থ হওয়ার আগে যেন তার মৃত্যুদ- কার্যকর না করা হয়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সাফিয়া বানুর আপিল আবেদন বাতিল করে দিয়ে বলেন, ‘সিজোফ্রেনিয়া স্থায়ী মানসিক অসুস্থতা নয়।’
আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, ওই আবেদনের পরিপ্রেেিত প্রধান বিচারপতি আনোয়ার জহির জামালীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ১১ পৃষ্ঠার এক রায়ে বলেন, ‘ওষুধ এবং অনেক ধরনের শারীরিক ও সামাজিকব্যবস্থা এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে সিজোফ্রেনিয়ার আক্রান্ত ব্যক্তিদের আরোগ্যলাভের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। এটি এখন এমন অসুস্থতায় পরিণত হয়েছে যা থেকে আরোগ্যলাভ সম্ভব। ফলে কোনো দিক দিয়েই এটি আর মানসিক অসুস্থতার পর্যায়ে পড়ে না। আমাদের মতে, মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত আদেশ অনুযায়ী, অভিযুক্তকে যে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা বিলম্বিত হওয়ার আওতায় পড়ে না।’
ইমদাদের আইনজীবী সারাহ বেলার সাংবাদিকদের বলেন, তার মক্কেলের অপরাধ বা শাস্তি কিছুই বোঝার মতা নেই। ‘তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত বলে চিকিৎসকরা যে সনদ দিয়েছেন ২০১৬ সালের আগে সেটি কখনই আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি।’ বলেন ইমদাদের আইনজীবী। ইমদাদের স্ত্রী সাফিয়া বানু রয়টার্সকে বলেন, ‘তিনি সব সময়ই পুরোপুরি ভ্রমের মধ্যে থাকেন।’
এদিকে জাতিসংঘের প থেকে বলা হয়েছে, যদি ইমদাদের মৃত্যুদ- কার্যকর হয় তবে তা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ