কালো পোশাকে জাতীয় সঙ্গীত গাইলো ২ লাখ থাইল্যান্ডবাসী
পরাগ মাঝি: শনিবার থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদের বাইরে সমবেত হয়েছিলো দেশটির বিপুলসংখ্যক নাগরিক। তাদের সবার পরনে ছিলো কালো রঙের পোশাক। চোখে জল আর হাতে ফুল নিয়ে তারা সমবেত কন্ঠে গাইলো জাতীয় সঙ্গীত। থাইল্যান্ডবাসীর এ আয়োজন ছিলো তাদের সদ্য প্রয়াত রাজার স্মরণে।
৮৮ বছর বয়সী রাজা ভূমিবল নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রায় ৭ দশকেরও বেশি সময় থাই সিংহাসনের অধিকারী ছিলেন। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম রাজত্বকাল। দীর্ঘকালের এই রাজাকে থাইল্যান্ডবাসীরা তাদের অন্তরে পিতার আসন দিয়েছে।
থাই পুলিশের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, রাজাকে সম্মান জানাতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় দুই লাখেরও বেশি মানুষ সমবেত হয়েছিলো। তাদের কেউ বাসে কিংবা নৌকায় চড়ে এমনকি পায়ে হেঁটেও রাজপ্রাসাদের সামনে এসে জড়ো হয়। এসময় তারা রাজপ্রাসাদের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর কিনারায় সারিবদ্ধ গাছ শোভিত খোলা জায়গায় অবস্থান নেয় এবং জাতীয় সঙ্গীত গায়।
থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ প্রাচিবুরি থেকে আসা ৪৭ বছর বয়সী নারী হাইশ্রি বলেন, ‘আমি তার মহিমাকে সম্মান জানাতে এসেছি। আমি প্রায় সারা রাত ধরে ভ্রমণ করেছি।’
থাই সরকার জানিয়েছে রাজার মৃত্যুতে নতুন রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসবেন তার ছেলে যুবরাজ মাহা ভাজিরালংকর্ন। তবে, এমনটি শিগগিরই হচ্ছে না। থাইল্যান্ডে নতুন রাজার অভিষেক হতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে।
থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় থাকা দেশটির সামরিক সরকার জানিয়েছে, রাজার মৃত্যুতে দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কোনো বাধা হবে না। সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে ২০১৭ সালেই তা করা হবে। ডেইলি মেইল। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম