ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত হাটে বাংলাদেশি পণ্য বিক্রি কম
তোহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা সীমান্ত হাটে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫ সালের জুন মাসে। মাত্র এক বছর তিন মাসের ব্যবধানে এ হাট বসার (দিন) বারবার বদল করা হয়েছে। কখনো বৃহস্পতিবার, কখনো রোববার, কখনো মঙ্গলবার হাট বসার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। তাতে বিপাকে পড়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়।
বলা চলে, দিন বদলের গ্যাঁড়াকলে পড়েছে এ হাট। তবে বারবার দিন বদল করেও এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের দোকানগুলোতে বিক্রি একেবারে নেই বললেই চলে। তবে হাটে বাংলাদেশি ক্রেতাসমাগম বেশি হওয়ায় ভারতীয় দোকানগুলোতে বিক্রি অনেক বেশি। হাটে বাংলাদেশের কাপড় ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া বলেন, এখানে বাংলাদেশের পণ্য বিক্রি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। বৃহস্পতি ও মঙ্গলবার হাটের দিন হলে তো ভারতীয় লোকজন আসতেই চায় না। তাদের দেশে রবিবার সরকারি ছুটি। তাই সবদিক চিন্তা করে রবিবার হাট আবারোও বসায় ক্রেতা বাড়বে বলে আশা করছি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কসবা সীমান্ত হাটে উভয় পাশে ২৫টি করে মোট ৫০টি দোকান বসে। কসবা রেলওয়ে স্টেশনের ঠিক পেছন দিকে উভয় দেশের ভূমির ওপর এ সীমান্ত হাট গড়ে উঠেছে। দুই দেশের মানুষ নিজ নিজ দেশের মুদ্রায় এখান থেকে পণ্য কিনতে পারে। কসমেটিকস, শাড়ি, বিস্কুট, চকলেট, কলা, শুঁটকি ইত্যাদি পাওয়া যায় এ হাটে।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কসবা সীমান্ত হাট পহেলা অক্টোবর থেকে রবিবার নিন্দারণ করা হয়েছে। এখন সে মোতাবেক রবিবারই সীমান্ত হাট বসছে। হাট এখন থেকে আগামী ছয় মাস রবিবার বসবে তারপরের ছয় মাস মঙ্গলবার বসবে। আর ভারতীয় দোকানদার নিম্ন পণ্য ব্যাপারে আমরা আগামী মিটিংয়ে আলোচনা করে বাজারের পণ্য মনিটংরিরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। সম্পাদনা : তারেক