আজ অনুমোদন হতে পারে ‘জাতীয় লবণনীতি ২০১৬’
আনিসুর রহমান তপন: সারাদেশের বিভিন্ন খাতে বছরভিত্তিক লবণের চাহিদা নিরূপণ ও সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় ‘জাতীয় লবণনীতি-২০১৬’ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যা আজ অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
সূত্র জানায়, লবণের উৎপাদন বৃদ্ধি, লবণ উৎপাদনে নতুন জমি নির্বাচন/চিহ্নিতকরণ এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে লবণ উৎপাদনে সরকারের মাঠপ্রশাসন কিভাবে সহায়তা করতে পারে, এ বিষয় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। লবণ মানবজীবনে বিকল্পহীন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিধায় বছরভিত্তিক সারাদেশের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে লবণের সরবরাহ বৃদ্ধি করাসহ যুগোপযোগী নীতির আওতায় লবণ চাষিদের স্বার্থ সংরক্ষণ, এ শিল্পের সুষ্ঠু বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এ নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে প্রথম এ শিল্পের জন্য জাতীয় লবণনীতি প্রণয়ন করা হয়। পাঁচ বছরের জন্য প্রণয়ন করা জাতীয় লবণনীতি অনুযায়ী লবণ বিষয়ে এতদিন সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। আগের নীতিমালার তথ্য ও উপাত্ত হালনাগাদ করে আরও যুগোপযোগী করে বর্তমান প্রস্তাব তৈরি করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
নীতিমালায় আয়োডিনের ঘাটতিতে মানবদেহে রোগপ্রতিরোধ বৃদ্ধিতে ভোজ্য লবণে আয়োডিন মিশ্রণ এবং আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরির কথা বলা হয়েছে এখানে।
এছাড়া প্রাকৃতিক ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা থেকে কিভাবে লবণ উৎপাদন এলাকা রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নীতিমালায়। ঋণ কৃষকদের সহায়তার মাধ্যমে লবণ শিল্পের উন্নয়নসহ ভোক্তা ও কৃষক পর্যায়ে উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং আপদকালীন সময়ে বাফার স্টকের ব্যবস্থার মাধ্যমে ঘাটতি মোকাবিলার কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়। উন্নত প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োগের মাধ্যমে লবণ উৎপাদন, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুত, বাজারদর, আমদানিসংক্রান্ত তথ্য ভা-ার তৈরির মাধ্যমে সেসব সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানোর মাধ্যমে এ শিল্প উন্নয়নে এই নীতিমালা তৈরি করেছে সরকার। সম্পাদনা: রিকু আমির