মন্ত্রিসভায় উঠছে বিএসসি আইন-২০১৬ নতুন আইনে মূলধন ৪০০ কোটি থেকে এক হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব
আনিসুর রহমান তপন: বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) আইন, ১৯৭২ আধুনিকায়নের মাধ্যমে নতুন একটি পূর্ণাঙ্গ আইনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এটি অনুমোদিত হতে পারে।
জানাগেছে, প্রস্তাবিত আইনের ধারা-৪ অনুযায়ী বর্তমান মূলধন ৪০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকায় উন্নীতের প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন আইনে করপোরেশনের কাজের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসসির পরিশোধিত মূলধনের শতকরা ৫১ ভাগ সরকারের এবং ৪৯ ভাগ শোয়ার জনসাধারণের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংশোধিত আইন ২০০৬ এর ৩৫নং ধারা অনুযায়ী প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য দশ টাকা করা হয়েছে।
ন্যূনতম সাত ও সর্বাধিক ১৩ সদস্যের মাধ্যমে একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে আইনে। প্রস্তাবিত আইনের ধারা ৭ এর বিধান অনুযায়ী নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তাছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবকে করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও পর্ষদে তিনজন সার্বক্ষণিক নির্বাহী পরিচালক এবং শেয়ার হোল্ডার প্রতিনিধি ও স্বতন্ত্র পরিচালকগণের সমন্বয়ে করপোরেশনের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
তাছাড়া সামরিক শাসনামলে জারি করা দুটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যে সকল বিধি সংযোজন, সংশোধন, প্রতিস্থাপন করা হয়েছে তা প্রস্তাবিত নতুন আইনে ধারা- ৬, ৭, ৯, ১২ ও ১৩-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনাকারী একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। ১৯৭২ সালে এ করপোরেশনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসহ, জ্বালানি, সার, খাদ্যশস্য পরিবহন করা হচ্ছে। তাছাড়া জাতীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিএসসি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সম্পাদনা : রিকু আমির