রাস্তা ফাঁকা, যানবাহন সংকট দুর্ভোগে চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল রাজধানীতে। বেশ কয়েকটি সড়কে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ডিএমপি। নগরবাসীর আশঙ্কা ছিল, ভয়াবহ যানজট হবে রাজপথে। কিন্তু গতকাল রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ফাঁকা রাস্তা,যানবাহন স্বল্পতায় দুর্ভোগে ছিলো সাধারণ মানুষ।
বাস না পেয়ে অনেকে দীর্ঘপথ হেঁটেই যান গন্তব্যে। আর এ সুযোগে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া নেন যাত্রীদের কাছ থেকে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলও ছিল সীমিত।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, মিরপুর, কল্যাণপুর, গাবতলী, আগারগাঁও, মহাখালী, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। অপরদিকে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা থাকায় পরীক্ষার্থী ও তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এছাড়া সড়ক বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও বারডেম হাসপাতালে আসা রোগী ও স্বজনরা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আরিফুর রহমান, বাসা মিরপুরে,অফিস সায়েদাবাদ এলাকায়। তিনি বলেন, সকাল দশটার মধ্যেই তার অফিসে পৌঁছার কথা ছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কোনো বাস পাননি। শেষটায় হেঁটেই মিরপুর ১১ থেকে কল্যাণপুর পৌঁছান। পরে ওখান থেকে ভেঙে ভেঙে অফিসে পৌঁছান বেলা সাড়ে ১১টায়।
গুলিস্তান পল্লবী রুটের এক বাস চালক বলেন, বিভিন্ন সড়কে আগে থেকে বিধিনিষেধ থাকায় রাস্তায় খুব কম সংখ্যক গাড়ি ছিল। সবার ধারণা ছিল-তীব্র যানজটে পড়তে হবে। তাছাড়া গাড়ির মালিকরা ভেবেছিলেন যাত্রী কম হবে। এ কারণেও অনেকে গাড়ি নামায়নি।
ধানমন্ডিতে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট বিএম সাদাত হোসেন জানান, সকাল থেকে গাড়ি কম, যাত্রীও কম। বিকালে একটু বেড়েছে। তবে কোনো যানজট নেই। অপরদিকে সকালে গুলিস্তান, জিরোপয়েন্ট, ফকিরাপুল ও পল্টন এলাকায় গাড়ির চাপ থাকলেও দুপুর নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে বাস মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বাস মালিকদের গাড়ি বের না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। যাতে রাজধানীতে যানজট না হয়। সম্মেলনের কারণে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে এমন চিত্র এড়ানোর জন্য গাড়ি চালাতে চালকদের নিরুৎসাহী করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্যাহ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, বেশকিছু সড়কে ডাইভারশন ছিল। তাই কিছু সড়কে গাড়ি কম দেখা গেছে। তবে অন্যান্য সড়কে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চলেছে। গাড়ি না চালানোর অভিযোগ সত্য না। এমন কোনো নির্দেশনা ছিল না। তিনি আরও বলেন, গাড়িতে যাত্রী হচ্ছিল না সকাল থেকে। তাই চালকরাও একটু নিরুৎসাহী ছিলেন। যাত্রী না হলে গাড়ি চালিয়েতো লাভ নেই। সম্পদনা: হামিদুর রহমান