যে কারণে জেলা পরিষদ নির্বাচনে যাচ্ছে না বিএনপি
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান করানো। ওই নির্বাচনের আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। এই জন্য সংসদে বিল পাস হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে রুল করে আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ভেটিং হয়ে আসলে এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে কমিশন। সরকার পরিকল্পনা অনুযায়ী এই নির্বাচন করানোর জন্য সব কাজ করছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরে জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। সেই হিসাবে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন দলীয় ব্যানারে হবে এমন কোনো বিধান করা হয়নি। নিদর্লীয় করা হবে এমন সুযোগ রয়েছে।
জেলা পরিষদ নির্বাচন আইনের সংশোধনী আনা হলেও এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন না বিএনপি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যেভাবে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে তাতে করে এই নির্বাচন থেকেও বিএনপিকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কারণ এই নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার রাখা হয়নি। ভোটার করা হয়েছে তাদেরকে যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। তারা সরকারের ছত্রছায়ায় ও সরকারের পুরো প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় ভোট বাক্স ভরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এই কারণে আমরা জেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নই। তবে এখনই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা বলতে পারবো না। এই ব্যাপারে সরকার সব ব্যবস্থা শেষ করার পর কমিশন কি করে তা দেখতে হবে এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, সরকার কোনো জায়গাই বাদ রাখেনি নিজেরদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা। এখন বাকি ছিলো জেলা পরিষদ। সেখানেও তারা আধিপত্য ও দখল প্রতিষ্ঠার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে। সেই হিসাবে তারা জেলা পরিষদের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। সেখানে ভোট দিবেন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশেনের দায়িত্বরত জনপ্রতিধিরা। তারা নিজেরাইতো নামে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন দাবি করা হলেও তাতো হননি। সেখানে তারা আর একজনকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন কেমন করে। আসলে নতুন সংশোধিত আইন অনুযায়ী সরকারি দল ও জোট ছাড়া অন্য সকল দলের জেলা পরিষদে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা নির্বাচনে যদি যাই আমাদেরকে জয়ী হতে দিবে না। এই কারণে বিষয়টিতে আমরা যাবো কিনা সেটা নিয়ে ম্যাডাম ও সিনিয়র নেতারা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবেন। কিন্তু আমার সিদ্ধান্ত ও মতামত হলো ওই ধরনের পাতানো নির্বাচনে আমাদের না যাওয়া। বাস্তবতা ভিন্ন। তাই এই ব্যাপারে অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার সব নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে সরাতে চাইছে। এইভাবে চলতে পারে না। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা লড়াই করছি করবো। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন