তিন মাস অবজারভেশনে থাকবে নার্গিস
মবিনুর রহমান: ছাত্রলীগ নেতার হামলায় গুরুতর আহত খাদিজা বেগম নার্গিসকে আরও দুই থেকে তিন মাস অবজারভেশনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কনসালটেন্ট এবং হাসপাতালটির অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল ডিরেক্টর মির্জা নাজিম উদ্দীন। গতকাল বোরবার বিকালে মুঠোফোনে নার্গিসের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি এ কথা জানান।
ডা. মির্জা জানান, নার্গিসকে অন্তত আরও দুই থেকে তিন মাস অবজারভেশনে রাখা হবে। তারপর বোঝা যাবে তার অবস্থা কোন পর্যায়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, নার্গিসকে তুলে হুইল চেয়ারে ঘুরানো হয়েছে। সে শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারে না। তাই হুইল চেয়ারে তাকে বেল্ট দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ডাক দিলে তাকিয়ে থাকে। কোনো কথা বলে না। আজ তাকে তরল খাবার খাওয়ানো হয়েছে। নার্গিসের চিকিৎসক নিউরো সার্জন ডা. রেজাউল সাত্তার জানান, গত সাতদিন থেকে নার্গিসের গলার টিউব বন্ধ করা হয়েছে। তাকে মুখে খাওয়ানো হচ্ছে। তবে নার্গিসের চেতনা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তিনি এলোমেলো কথা বলছেন। তার এ অবস্থার উন্নতি হতে আরও সময় প্রয়োজন।
এর আগে নার্গিসের বাবা মাসুক মিয়া জানান, নার্গিসকে দু-তিনদিনের মধ্যে কেবিনে নেওয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, আহত নার্গিস সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত সোমবার ৩ অক্টোবর বিকালে সিলেট এমসি কলেজ পুকুর পাড়ে নার্গিসকে ছাত্রলীগ নেতা বদরুল ইসলাম প্রকাশ্যে কুপিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতে অবস্থার অবনতি হলে নার্গিসকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন চিকিৎসকরা জানান, নার্গিসের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ। পরে অপারেশন শেষে তার অবস্থা জানার জন্য ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে বলে চিকিৎসকরা জানান। এরপর পর্যায়ক্রমে তার উন্নতি হচ্ছে। তিনি এখন নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ)তে নিউরো সার্জন ডা. এ এম রেজাউস সাত্তার-এর অধীনে চিকিৎসাধীন। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম