ঝিনাইগাতী সদর হাসপাতালটি এখন নিজেই শয্যাশায়ী
মো. আব্বাস উদ্দিন, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : শেরপুরের ঝিনাইগাতী সদর হাসপাতালটি বিভিন্ন সমস্যায় জর-জড়িত হয়ে হাসপাতালটি এখন নিজেই শয্যাসায়ী। উক্ত হাসপাতালে অত্র উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার কেন্দ্র বিন্দু। আর এই হাসপাতালটি কর্তৃপক্ষের অবহেলা-অযতœ ও অবজ্ঞার কারণে প্রায় ৪ লক্ষ লোক চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ।
দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের নানা সমস্যায় চলে আসছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের কোন উদ্দ্যোগ নেই।
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ডাক্তার নার্স ও ওয়ার্ড বয় এর স্বল্পতার কারণে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে দারুণ ভাবে। দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা এসে ডাক্তার না পেয়ে চিকিৎসা উপ-সহকারীর দু’একজন দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ হাসপাতালে ডাক্তার না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় ফিরে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট কিনিকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।
প্রকাশ থাকে যে, অত্র হাসপাতালটির নৈশ্যপ্রহরী, প্যাথলোজিস্ট, স্টোর কিপার ও অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার পর্যন্ত নেই। প্যাথলোজিস্ট ম্যান না থাকায় দরিদ্র রোগীদের রক্ত মলমূত্র বাহির থেকে পরীক্ষা করতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভেস্তে গেছে। ফলে জটিল রোগীগুলি দ্রুত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে কিম্বা অন্যত্রে নেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী একটি হাসপাতালে ৯ জন ডাক্তার থাকার কথা। কাগজে -কলমে ৪/৫ জন ডাক্তার থাকলেও বাস্তবে দু’একজন এসে হাজিরা দিয়ে চলে যায়। হাসপাতালে ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় সেই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য উপ-সহকারী দিয়েই চিকিৎসা সেবা চলছে।
হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই, যাও কিছু আছে সেগুলিও ব্যবহার না করার কারণে নষ্ট হতে চলেছে। এক্সরে মেশিন চালু রয়েছে দক্ষ লোক না থাকায় সঠিক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এক্সরে বিভাগের দায়িত্বরত টেকনোলজিস্ট জানান, বিদ্যুতিক গোলোযোগের কারণে এক্সরে ফলাফল আসছে না। এমন দোহায় দিয়ে পাশকাটিয়ে যান এক্সরে টেকনোলজিষ্ট। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত উপজেলার সিংহভাগ লোক দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিক। এই সমস্ত দরিদ্র কৃষক শ্রমিকরা হাসপাতালে এসে প্রয়োজনীয় ঔষধ পাচ্ছে না। সম্পাদনা : তারেক