দণি-পশ্চিমাঞ্চলে আমন ধানের চাষে ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে
বাগেরহাট প্রতিনিধি : দণি-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাটসহ ১০ জেলার উপজেলায় এবার রোপা আমন ধানের আবাদ ভাল হওয়ায় ফলনের ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সময় মতো বর্ষণ কৃষকের মাঝে এনে দিয়েছে স্বস্তি।
চলতি মৌসুমে আমন আবাদের শুরুতে জমি তৈরি এবং ধানের চারা রোপণ করতে হয়েছে জমিতে সেচ দিয়ে। সে সময়ে কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করলেও, তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সেচ দিয়ে আবাদ করার চিন্তায় চিন্তিত ছিল কৃষক।
এদিকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমন আবাদের চেহারা পাল্টে গেছে। ধানের েেত এখন সবুজের সমারোহ। অনেক জমির ধানে থোড় দেখা গিয়েছে। মাঝে মাঝে টানা বর্ষনে এখন প্রতিটি জমিতে বৃষ্টির পানি জমে আছে। তাই ধানের শীষ বেড় হওয়ার সময় জমিতে যে পরিমাণ পানি থাকা দরকার তার চেয়ে বেশি পানি রয়েছে। এতে ধানের ফলন আশাতীত হবে বলে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে আনন্দ।
সরেজমিনে বাগেরহাটে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ আমন ধানের সবুজ বর্ণে ছেয়ে আছে। গ্রামের কৃষক তৌহিদুল ইসলামের সাথে জমির আইলে দাঁড়িয়ে কথা হলে তিনি জানান, আমন আবাদের চেহারা দেখে এবার মন ভরে যায়। আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে শুধু ফলন ঘরে তোলার অপো।
গ্রামের কৃষক মো. কাদের শেখ জানান সময় মতো যদি সরকারিভাবে আমন ধান সংগ্রহ অর্থাৎ সরকারি খাদ্য গুদামে ধান কেনা শুরু করা হয় তাহলে কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। কৃষকরা জানান, প্রতিবছর দেখা যায় ধান কাটা-মাড়াই করার অনেক পড়ে সরকারী ভাবে ধান ক্রয় শুরু করা হয়। সে সময় কৃষকের আবাদের ধান ব্যবসায়ীদের গুদামে চলে যায়। এতে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ৫০ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের ল্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপশী জাতের ৩০ হাজার হেক্টর, হাইব্রিড ১০ হাজার হেক্টর, স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে। সম্পাদনা : তারেক