দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট প্রতিবেদন পরমাণু যুদ্ধ বাধলে যে জায়গায় আপনি নিরাপদ থাকবেন
্পরাগ মাঝি: তুরস্কের উপ-প্রধানমন্ত্রী নুমান কার্টালমাস আনাদুলু এজেন্সির সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, সিরিয়ায় আমেরিকা এবং রাশিয়ার যে অবস্থান তাতে পারমানবিক যুদ্ধের সূচনা হতে পারে।
কার্টালমাস বলেন, ‘এই যুদ্ধ খেলা চলতে থাকলে আমেরিকা এবং রাশিয়া একসময় মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসবে।’
কার্টালমাসের কথা অনুযায়ী যদি এমনটি হয় তবে তো নিশ্চিতভাবেই পৃথিবীতে একটি পারমানবিক যুদ্ধের সূচনা হবে। সে ক্ষেত্রে বলা যায় সারা পৃথিবীই আক্রান্ত হবে এ যুদ্ধের ভয়াবহতায়। কারণ পরমাণু সমৃদ্ধ বাকী দেশগুলোও এ যুদ্ধে নিজেদের জড়াবে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট পরমাণু যুদ্ধ বাধলে আপনি কোথায় নিরাপদ থাকবেন তা অনুসন্ধান করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হঠাৎ পরমাণু যুদ্ধ বেধে গেলে যদি আপনি তার আঁচ থেকে বাঁচতে চান তবে অবশ্যই সেইসব দেশগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে যারা পারমানবিক অস্ত্র বহন করছে। শুধু তাই নয় পারমানবিক অস্ত্র বহন না করলেও যে সব দেশ যুদ্ধের মধ্যে নিজেদের নাক গলাবে সেসব দেশ থেকেও আপনাকে দূরে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার সেরা বাজি হতে পারে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে।
পৃথিবীর ৯০ ভাগেরও বেশি পারমানবিক অস্ত্র বহন করছে আমেরিকা এবং রাশিয়া। আর পরমাণু যুদ্ধ বাধলে ধারণা করা হচ্ছে এ দুই দেশের ছত্র-ছায়ায় যেসব দেশ আছে পারমানবিক যুদ্ধের আঁচ লাগতে পারে সেসব দেশে।
তবে, দক্ষিণ গোলার্ধের দেশসমূহ বিশেষ করে, উরুগুয়ে, সুইজারল্যান্ড, নিউজ্যিল্যান্ড, চিলি, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে এই দেশগুলো পারবানবিক যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে কিছুটা রেহাই পেতে পারে। আর পারমানবিক যুদ্ধ বাধলে যেসব পাশ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তা হলো- মাটির উর্বরতা কমে ফসল উৎপাদন কমে যাবে, পৃথিবীব্যাপি খরা দেখা দেবে, ওজনস্তর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চামড়ার ক্যান্সার সহ সারা পৃথিবীই একসময় প্রাণঘাতী হয়ে উঠবে। তাই ক্ষতিকে কিচু মাত্রায় কমিয়ে আনতে পরমানু যুদ্ধ বাধা মাত্রই লাতিন আমেরিকার কোন দেশে আস্তানা গাড়তে ব্যাগ গোছানো শুরু করাই ভালো। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ