ক্যালে শরণার্থী শিবির উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘জঙ্গল ক্যাম্প’ হিসেবে পরিচিত কুখ্যাত ক্যালে শরণার্থী শিবির উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফ্রান্স। উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে এরইমধ্যে সেখানে ১২০০-এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
ক্যালে শিবিরের বাসিন্দাদের বাসে করে ফ্রান্সের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। তারা সেখানে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন। অভিযানের আগে রোববার ক্যালের শরণার্থীদের এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। সোমবার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মঙ্গলবার সেখানে ভারী যন্ত্রপাতি পাঠিয়ে শরণার্থী শিবিরগুলো পরিচ্ছন্ন করা হবে। ফরাসি কর্তৃপরে এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা করছেন শরণার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে ক্যালে বন্দরের বাইরে শরণার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। গত শনিবার সেখানে ৫০-জনের মতো শরণার্থীর একটি দল পুলিশকে ল্য করে পাথর ও বোতল ছোড়ে। পাল্টা জবাবে পুলিশ স্মোক গ্রেনেড নিপে ও লাঠিপেটা করে।
গত সেপ্টেম্বরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ এই ক্যাম্প সম্পূর্ণভাবে বন্ধের নির্দেশ দেন। সেই ধারাবাহিকতায় সোমবার উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ব্রিটেনের সীমান্তবর্তী ফরাসি শহর ক্যালের শরণার্থী শিবিরটি জঙ্গল ক্যাম্প নামে পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীরা বাস করছে সেখানে। এদের অনেকের প্রধান উদ্দেশ্য সীমান্ত অতিক্রম করে ব্রিটেনে প্রবেশ করা। ওই ক্যাম্পগুলোয় সাত হাজারের বেশি মানুষ মানবেতরভাবে রয়েছে যাদের অনেকেই গোপনে ট্রাকে করে ব্রিটেনে প্রবেশের চেষ্টা করে। যদিও দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, এই ক্যাম্পে দশ হাজারের বেশি বাসিন্দা রয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ