দাঁড়িয়ে পেশাব কিংবা হাই কমোড ব্যবহারের বিধান
হুমায়ুন আইয়ুব: দাঁড়িয়ে পেশাব করা কিংবা প্রয়োজনে-অপ্রেয়োজনে হাই কমোড ব্যবহার করা আমাদের আধুনিক জীবনযাত্রায় একেবারেই সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে। সংস্কৃতিগতভাবে বা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি নিয়ে আমরা কখনও ভাবি না। প্রথম কথা হলো, ইসলামি ফেকার সিদ্ধান্ত হলো, স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে পেশাব করা নিষেধ। ইসলাম বিষয়টা অনুমোদন করেও না। তবে কেউ যদি রোগি হয়, অসুস্থ হয় বসে পেশাব করতে অপারগ হয়; তাহলে সে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে পারবে। তাছাড়া প্যাণ্টের অজুহাতে বা অকারণে দাঁড়িয়ে পেশাব করা গোনাহের কাজ। সংস্কৃতিটাও মুসলিম সমাজ ব্যবস্থার পরিপন্থী। (সুনান আবূ দাউদ, অনুচ্ছেদ: দাঁড়িয়ে পেশাব করা)।
হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, যে লোক তোমাদের বলে, নাবী (সা.) দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন, তার কথা তোমরা বিশ্বাস করো না। তিনি সব সময় বসেই পেশাব করতেন। (ইবনে মাজাহ/৩০৭)। ইবনে ওমার হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ওমার (রা.) বলেছেন, আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর কখনও দাঁড়িয়ে পেশাব করিনি। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা.) বলেন, দাঁড়িয়ে পেশাব করাটা বেয়াদবি।
হাই কমোড বা ইংলিশ কমোড ব্যবহারে অনেকের আগ্রহ-অনাগ্রহ আছে। স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের জন্য এ জাতীয় কমোড ব্যবহার মাকরুহ মনে করেন ইসলামি আইনবিদরা। তবে যাদের বসার ক্ষমতা নেই বা বসে টয়লেট ব্যবহারে যথেষ্ট কষ্ট হয় তাদের জন্য অনুমতি আছে। তবে কোথাও যদি হাই কমোড ছাড়া বিকল্প কোনো বাথরুম ব্যবস্থা না থাকে, হাই কমোড ব্যবহারে কোনো অসুবিধে নেই। (জাদিদ ফেকহি মাসায়েল ১/৫৭)। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম