আ.লীগের সম্মেলনে রামপাল দুর্নীতি টেন্ডারবাজি নিয়ে আলোচনা হয়নি : ডা. জাফরুল্লাহ
গাজী মিরান : আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ম বারের মতো সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদের প্রথমবারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এ-ও বলেছেন, বিচক্ষণতার সঙ্গে সম্মেলন শেষ হলেও রামপাল, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি ও ট্রানজিটসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ই আলোচনা করা হয়নি। রোববার ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বর্তমান কমিটি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়Ñ প্রধানমন্ত্রী কমিটি গঠনে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। কারণ, ২০১৮ সালে হোক আর ২০১৯ সালেই হোক, আওয়ামী লীগের নির্বাচনের জন্য এমন একজন দরকার যিনি চরকার মতো ঘুরতে পারবেন। এসব দিক থেকে দেখলে প্রধানমন্ত্রী সঠিক ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করেছেন। দলের অন্যান্য সদস্যের তুলনায় আগামী নির্বাচনের জন্য ওবায়দুল কাদেরই যোগ্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জয়কে কোনো উচ্চ পদে না এনে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে দলের জন্য জয়কে পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ভাসানীসহ বিভিন্ন প্রয়াত নেতাদের স্মরণ করে অন্যতম বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু আশাহত করেছে দুটি বিষয়। এক. আওয়ামী লীগের ঘোষণায় ছিল যে কমিটিতে ৩০ শতাংশ মহিলা আনা হবে। কিন্তু সেটা আমরা দেখলাম না। দুই. রামপাল, দুর্নীতি, যুবলীগের টেন্ডারবাজি এবং ট্রানজিটসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই সম্মেলনে আলোচনা হয়নি। অতএব, আমার মনে হয় এখন প্রধানমন্ত্রীর সময় এসেছে নিজেকে সংযত করে পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী