ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে মার্কিন নির্বাচনের নথি ফাঁস করেননি অ্যাসাঞ্জ : উইকিলিকস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সরকারের জনবিরোধী ভূমিকা উন্মোচনকারী বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মানবাধিকার রার দায়িত্ব ইকুয়েডর সরকারের। ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে মার্কিন নির্বাচনবিষয়ক কোনো ফাঁস কিংবা আদান-প্রদান করেননি অ্যাসাঞ্জ।
সোমবার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে উইকিলিকসের সম্পাদনা বোর্ডের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। উইকিলিকসের টুইটারে রহস্যময় তিনটি টুইট এবং পরে অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণায় তার অবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় অনেকেই অ্যাসাঞ্জের অবস্থা জানতে চেয়েছেন জানিয়ে রোববার উইকিলিকস ঘোষণা দিয়েছিল তারা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন মিডিয়াগোষ্ঠী বা রাষ্ট্রের অপপ্রচারের মুখে কিভাবে অ্যাসাঞ্জের মানবাধিকার সর্বোত্তম উপায়ে রা করা যায় তা ইকুয়েডর সরকারের দায়িত্ব। বাংলাট্রিবিউন
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ইকুয়েডর কর্তৃপ অ্যাসাঞ্জের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবরটি নিশ্চিত করে এক বিবৃতি দেয়। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণ হিসেবে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে সম এমন কিছু মূল্যবান নথি ফাঁস করেছে উইকিলিকস’। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তপে না করার নীতিকে শ্রদ্ধা করে ইকুয়েডর’। তবে অ্যাসাঞ্জকে ইকুয়েডরে দেওয়া আশ্রয় বহাল থাকবে এবং তিনি নিরাপদ জায়গায় না পৌঁছানো পর্যন্ত তার জীবন ও শরীরকে অত রাখা হবে বলেও আশ্বস্ত করে কর্তৃপ।
উইকিলিকস জানায়, তারা প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী বিপুল সংখ্যাক নথি প্রকাশ ও পর্যালোচনা করে থাকে। ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস থেকে তারা সাংবাদিকতার কাজ করে যাচেছ। উইকিলিকসের অনেক কর্মী ও আইনজীবীরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে। কখনও তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়নি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ