ডিএসসিসি নির্মাণ করেছে মাত্র ১টি এসটিএস নির্মাণের জায়গা পায় না ঢাকার ২ সিটি কর্পোরেশন
ফয়সাল খান : ঢাকার রাজপথ থেকে বিরক্তিকর ময়লার কন্টেইনার সরিয়ে চলতি বছরের প্রথম দিকে প্রায় ১২০টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণের উদ্যোগ নেয় দুই সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রতি ওয়ার্ডে ২টি করে ৭২টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) প্রতি ওয়ার্ডে ১টি করে ৫৭টি এসটিএস নির্মাণ করবে বলে জানায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ডিএনসিসি ৪৭টি নির্মাণ করলেও ডিএসসিসি মাত্র ১টি এসটিএস নির্মাণ করেছে। উভয় সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, জায়গার অভাবেই এসটিএস নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও শুরু থেকেই নগর পরিকল্পনাবিদরা এর বিরোধিতা করে আসছে।
ডিএনসিসি সূত্র জানায়, তাদের ১৩, ২১, ২৫, ৩৫ ও ৩৬ নং ওয়ার্ডে এসটিএস নির্মাণের জন্য কোনো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ৩৬টি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ২টি করে ৭২টি এসটিএস নির্মাণে পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে ওয়ার্ডে আয়তন অনুযায়ী এর সংখ্যা কম বেশি হতে পারে।
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর আব্দুর রাজ্জাক আমাদের অর্থনীতিকে জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ২/৩টি করে এসটিএস নির্মণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ৪৭টি এসটিএস নির্মাণ সম্পন্ন হলেও প্রগতি সরণিসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া আরও ৩টি এসটিএস নির্মানের কাজ শেষ পর্যায়ে বলে জানান তিনি।
এপর্যন্ত হাজারিবাগে মাত্র একটি এসটিএসটি নির্মাণ কারতে সক্ষম হয়েছে ডিএসসিসি। সূত্র জানায়, দক্ষিণ সিটি এলাকায় ৮টি এসটিএস নির্মাণের কাজ চলমান। এছাড়া বেশ কয়েক জায়গায় এলাকাবাসীর বাধা ও মামলার কারণে এসটিএস নির্মাণ থেকে সরে আসে ডিএসসিসি।
সংস্থাটির বর্জ্য বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ হারুন আমাদের অর্থনীতিকে জানান, বিভিন্ন জায়গায় এসটিএস নির্মাণ করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিএসসিসি কর্মকর্তাদের দাবি, ডিএনসিসি এলাকায় সরকারি ও খাস জমি বেশি। তাই সহজে এসটিএস নির্মাণ করা যাচ্ছে। অপরদিকে ঘন বসতি ও সরকারি জায়গা কম থাকায় এসটিএস নির্মাণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।
এসটিএস সম্পর্কে জানতে চাইলে নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবীব আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, এসব স্টেশন নির্মাণের ফলে দৃশ্যমান উন্নয়ন হলেও প্রকৃত সুবিধা পাবে না নগরবাসী। খেলার মাঠ, পার্ক দখল করে এসব দুর্গন্ধ ছড়ানোর প্রক্রিয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মূল রাস্তা থেকে কন্টেইনারগুলো সরানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ময়লার উৎস থেকেই প্যাকেটজাত অবস্থায় বর্জ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন তিনি। সম্পাদনা : রিকু আমির