দেলওয়ার হোসাইন: খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের মাসিক সম্মানী ভাতা বাড়িয়েছে সরকার। সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বিতরণ নীতিমালা ২০১৬ এর খসড়া এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারবর্গের মাসিক সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভাশেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। বীর উত্তমদের ভাতা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা, বীর বিক্রমদের ৮ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা এবং বীর প্রতীকদের মাসিক ভাতা ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ‘এ’ শ্রেণির পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ হাজার টাকা, ‘বি’ শ্রেণির পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা, ‘সি’ শ্রেণির ১৬ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ‘ডি’ শ্রেণির পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ৯ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাসিক ভাতা মাসে ১৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ১৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ পরিবারের ভাতা ২৮ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন ভাতা কার্যকর ধরা হয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, যারা দুই ধরনের ভাতাপ্রাপ্ত, তাদের েেত্র যে ভাতাটি বেশি, তারা সেটি পাবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে চার পর্যায়ের খেতাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকার।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১ সালে সেই চার খেতাবের নামকরণ হয় বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ওবীর প্রতীক। সর্বোচ্চ খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ পান সাতজন। এছাড়া ৬৮ জন বীর উত্তম, ১৭৫ জন বীর বিক্রম এবং ৪২৬ জন বীরপ্রতীক খেতাব পান। সম্পাদনা: রিকু আমির