* ডিএমপিতে আরও ১০ থানা হচ্ছে
* ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সব বাস্তবায়ন
বিপ্লব বিশ্বাস: ভিআইপিদের নিরাপত্তায় ডিএমপির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও যানবাহন কেনার উদ্যোগ নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সাতটি প্রোটেকশন জিপ ও ২৫টি পেট্রোল কার রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ডিএমপিতে ৪৯টি পুলিশ স্টেশন রয়েছে এবং আরও ১০টি নতুন পুলিশ স্টেশন স্থাপন করা হবে। এ অবস্থায় ডিএমপির জন্য জিপ, ডাবল কেবিন পিক আপ, পেট্রোল কার, মোটরসাইকেল, মিনিবাস, ট্রাক ও মিনি ট্রাক নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইন ও পরিকল্পনা) মহিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা বেশকিছু পরকিল্পনা ও প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এরমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপারেশন সমতা ও দতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় ডিএমপির সমতা বৃদ্ধি করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ডিএমপির জন্য ১০০টি ২৫০ সিসি ও ২০০টি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল, ৫০টি করে ট্রাক ও বাস, ২০টি করে মিনিবাস ও প্রিজনার্স ভ্যান, ১০টি জিপ ও ২টি ভ্যান কেনা হবে। পাশাপাশি ১৮৮টি ডাবল কেবিন পিকআপও কেনা হবে। যানবাহনগুলো চালানোর ল্েয এক হাজার জনকে প্রশিণ দেওয়া হবে। মেরামতের জন্যও একটি মোটর ওয়ার্কশপ স্থাপন করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপারেশন সমতা ও দতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় করা হবে ২০০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মেয়াদেই যানবাহনগুলো কেনা হবে বলেও জানান মহিবুল হক।
তিনি জানান, প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন-পুলিশের অপারেশনাল দতা বৃদ্ধি, সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও পুলিশের সেবার মান বৃদ্ধি করা হবে। যাতে করে ভিআইপি এবং জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) আখতার হোসেন ভূইয়া বলেন, বর্তমানে পুলিশ সদস্যদের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম। ডিএমপিতেও একই অবস্থা। সেই ল্েয প্রকল্পের আওতায় ডিএমপিতে নুতন কিছু যানবাহন কেনা হবে। যাতে করে ডিএমপির সমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অপারেশনাল দতাও বৃদ্ধি পায়। সম্পাদনা : মাহমুদুল আলম