‘বিচারপতি অপসারণ নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে’
এস এম নূর মোহাম্মদ: উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল করার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গতকাল সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্ট এটাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। দুজন বিচারপতি বলেছেন এটা অবৈধ, একজন বলেছেন বৈধ। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আপিল করব। আর তা এক মাসের মধ্যে করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের মতা সংসদের হাতে দিয়ে পাস করা ষোড়শ সংশোধনী হাইকোর্টে বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে বিচারক অপসারণের েেত্র সাংবিধানিক শূন্যতা বিরাজ করছে বলে আমি মনে করি। কারণ এখন তো এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বিচারকদের অপসারণের মতা পার্লামেন্টের হাতে। আমাদের পঞ্চম সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে দেওয়া হল। এ নিয়ে আইয়ুব খান যেটা করেছিল এই বিধানটাও অনেকটা তাই। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের যে ত্যাগ, সংগ্রাম ও চেতনা সবই বৃথা হয়ে যায়। হাইকোর্টের রায় যাতে পরিবর্তন হয়, আমরা সেটা করার চেষ্টা করব।
এদিকে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর ট্রাইব্যুনালের জনবল কমানো দরকার বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে যতো লোক আছে, তা রাখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। তদন্তের ব্যাপারেও না, প্রসিকিউশনের ব্যাপারেও না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে পুরনো হাইকোর্ট ভবন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেওয়ার পে মত দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাহবুবে আলম বলেন, প্রধান বিচারপতি এটা ভালো উদ্দেশ্যেই বলেছেন। কারণ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বের কারণেই এতো দ্রুত যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এখন ট্রাইব্যুনাল কিভাবে চলবে সেটা সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়, যা আইনের দ্বারা বিধিবদ্ধ হবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু