দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতিকে দেয়া হয়েছে
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান। চার সদস্যদের প্রতিনিধিদল নিয়ে তিনি সোমবার বিকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবনে যান। সেখানে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ওই প্রতিবেদন তুলে দেন। প্রতিবেদন নতুন চেয়ারম্যানের তরফ থেকে প্রথম রিপোর্ট দাখিল হলেও যে সময়ের রিপোর্ট হস্তান্তর করা হলো তা গত কমিশনের। আগামী বছর এই সময়ে তিনি তার প্রথম বছরের রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করতে পারেন।
সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৯ (১) ধারা অনুযায়ী দুদকের তরফ থেকে প্রতিবছর আগের বছরের সম্পাদিত সব কাজ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পেশ করতে হয়। এই জন্য বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। সেই হিসাবে দুদককে এই প্রতিবেদন জমা দিতে হয়। দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তা হলেও এই ব্যাপারে তারা কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে দায়বদ্ধ। দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে ২০০৪ সালে কমিশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এনিয়ে চারবার রাষ্ট্রপতির কাছে এই ধরনের বার্ষিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হলো।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। প্রতিনিধি দলের বাকিরা হলেন, দুদকের কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম ও সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল।
দুদকের তরফ থেকে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে ওই রিপোর্টে আটটি অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রোপট ও পরিচিতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক পদপে, দুর্নীতি প্রতিরোধ, গণশুনানি, প্রাতিষ্ঠানিক সমতা বৃদ্ধি, কমিশনের তথ্য ব্যবস্থাপনা, আগামী অভিযাত্রায় কমিশনের কর্মপরিকল্পনা এবং সুপারিশমালা। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম