এবার পাকিস্তানে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তরিক সওয়ালেও সদ্যসমাপ্ত ব্রিকস সম্মেলনেও জঙ্গি-আঁতুড়ঘর হিসাবে পাকিস্তানের নাম করতে চায়নি রাশিয়া। এমনকী, দিন কয়েক আগে ভারত সফরে এসে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুকি-ও জঙ্গিদের মদতদাতা হিসাবে পাকিস্তানের নাম করতে অস্বীকার করেন। ভারতের দীর্ঘ সময়ের দুই স্ট্রাটেজিক্যাল পার্টনার রাশিয়া এবং মিয়ানমারের এমন অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই নয়াদিল্লিকে আশাহত করেছিল। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সন্ত্রাসের প্রশ্নে পাকিস্তানকে শুধু আক্রমণ করাই নয়, সেইসঙ্গে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর হুমকি দিয়েছে তাতে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী হলো বলেই মনে করা হচ্ছে। এবেলা
‘কাউন্টার অন ফিনানসিং টেররিজম’-এর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্টিং আন্ডারসেক্রেটারি অ্যাডাম জুবিন ওয়াশিংটনে বক্তব্য রাখার সময়ে বলেন, সন্ত্রাসকে নির্মূল করার মতো পরিকাঠামো পাকিস্তানের কাছে রয়েছে। এই জন্য তাদের কাছে বিশেষ প্রশিতি বাহিনীও আছে। কিন্তু, কোনও কাজই সেখানে হচ্ছে না। এমনকী, আইএসএস-কে বারবার অনুরোধ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এই নিয়ে ওয়াশিংটন বারবার পাকিস্তানের কাছে আর্জিও করেছে। সন্ত্রাস নির্মূলে প্রয়োজনে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করতে প্রস্তুত বলেও বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন অ্যাডাম জুবিন। কিন্তু, এর মানে এমনটা নয় যে যুক্তরাষ্ট্র সারাণই এভাবে কাজ করবে। যদি, মনে হয় তাদের দেশে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ধ্বংসে পাকিস্তান এর পরেও অনিচ্ছুক, তা হলে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে ‘সার্জিক্যাল অ্যাটাক’ করতে পিছপা হবে না। পাকিস্তানের বুকে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে সেেেত্র প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র একাই অভিযান চালাবে। জুবিনের মতে, পাকিস্তান নিজেও সন্ত্রাসবাদের শিকার। কিন্তু, তারপরও তারা সেভাবে জঙ্গি শিবিরগুলি ধ্বংসে উদ্যোগী হচ্ছে না। সারা বছরই পাকিস্তানে একাধিক মসজিদ, বাজার, সেনা শিবিরে জঙ্গি হামলা হচ্ছে। মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য মানুষের। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অংশও জঙ্গিদের স্বাধীন স্বর্গরাজ্যতে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন অ্যাক্টিং মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি জুবিন। কিন্তু, এত কিছুর পরেও পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই যেভাবে জঙ্গিদের মদত যুগিয়ে চলেছে তা সত্যিই হতাশাজনক বলে জানিয়েছেন অ্যাক্টিং মার্কিন আন্ডারসেক্রেটারি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ