বাংলাদেশ ব্যাংককে নজরদারি বাড়াতে হবে
সেলিমা আহমাদ
ঋণ পেতে অনেকসময় ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট চায়। কিন্তু নারী উদ্যোক্তারা অনেকসময় তা দিতে প্রস্তুত থাকেন না। ব্যাংক যা যা চায় সেই জিনিসগুলো তৈরি করে নিয়ে আসতে হয়। ব্যাংকগুলোরও সেই কো-অপারেশন করা দরকার আছে। নারী উদ্যোক্তাদের ওখানে অংশগ্রহণেরও দরকার রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আছে যে নারী উদ্যোক্তাদের ১৫% ঋণ দিতে হবেÑ তা সমস্ত ব্যাংকের ব্রাঞ্চগুলোতে তা আছে কিনা এবং সেই ব্রাঞ্চগুলোকে তাদের ব্যাংকের প্রধান অফিস থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে কিনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে ১৫% এসএমই ঋণ দেওয়ার যে বাধ্য-বাধকতা আছে তা তারা জানেন কিনা? আমার ধারণা অনেকেই এই বাধ্য-বাধকতা সম্পর্কে জানেন না। ১৫% ঋণ নারী উদ্যোক্তাদের দিতেই হবে। এটা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা নির্দেশনা। এখন এই নির্দেশনা মানছে কিনা, সঠিক হিসাব ব্যাংকগুলো দিচ্ছে কিনা? বাংলাদেশ ব্যাংককেই এ বিষয়ে আরেকটু নজরদারি বাড়াতে হবে। নারী উদ্যোক্তারা যখনই এ রকম হয়রানি শিকার হবেন তখনই যেন অভিযোগ জানাতে পারেন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ওয়েবসাইট থাকতে হবে যেখানে নারী উদ্যোক্তারা সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। যাতে ব্যাংক কর্মকর্তারা সেই অভিযোগ দেখে অভিযুক্ত ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রচারণা চালাতে হবে যে যদি নারী উদ্যোক্তাদের হয়রানি করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে। নারী উদ্যোক্তারা যদি কোনো হয়রানির শিকার হন, বাংলাদেশ ব্যাংককে জানায়, কর্তৃপক্ষ যদি সঙ্গে সঙ্গে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে হয়রানির মাত্রা কমে যাবে। নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের কোনোভাবে হয়রানি করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংককে সবসময় নজরদারি করতে হবে যে সমস্ত ব্যাংকগুলো এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
পরিচিতি: প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ওমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান