ফেসবুকে আয়নাবাজির পাইরেসি…
আয়নাবাজির একমাত্র পাওয়া আপনাদের ভালবাসা
অমিতাভ রেজা চৌধুরী, চলচ্চিত্র পরিচালক
আজ আপনাদের সামনে খুব ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আয়নাবাজি আমার আর আমার প্রযোজকের প্রথম সিনেমা। সুতরাং সকল ভুল-ত্রুটি সীমাবদ্ধতাসহ আমি গত চার বছর অকান্ত পরিশ্রম করে সিনেমাটা বানিয়েছি, যার এক বিন্দু ছাড় দিইনি কোনোকিছুতে। সিনেমা একটা পড়ষষধনড়ৎধঃরাব ধৎঃ. আমি একা কিছুই করতে পারতাম না। অনেক মানুষের পরিশ্রম এখানে আছে । এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে যখন আমার উপর ভরসা করে কেউ লগ্নি করেছে। সিনেমা মুক্তির আগে আয়নাবাজি কেউ স্পন্সর করতে এগিয়ে আসেননি। আমার আপত্তি ছিল কোনো নিবেদিত আয়নাবাজি হতে দিব না। মাত্র ২০ হলে আমাদের সিনেমা নিয়েছিল, যা আয়নাবাজির লগ্নি আসার অসম্ভব কিছু। তার ওপর ভরসা করে আমরা মুক্তি দিই। কোনো প্রিমিয়ার শো ছাড়া সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছে। টিকেট কেটে সিনেমা দেখাই ছিল আমার ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য। আমি, চঞ্চল ভাইসহ সবাই টিকেট কেটে সিনেমা দেখেছে। আমাদের ডিজিটাল পার্টনার হলো শুধু রবি। রবির কাছে সিনেমার রাইট বেচার প্রশ্নই আসে না। শুধুমাত্র রবি টিভিতে অর্থাৎ মোবাইল ডিভাইস
ছাড়া এটা আর কোথাও দেখা যাবে না। তাও তিনদিনের জন্য, কেউ সাবস্ক্রাইব করলে আমরা ৎবাবহঁব ংযধৎব পাব আর কিছু না। ঘবঃভষরী বা াড়ফ ঢ়ষধঃভড়ৎস ঊৎ সড়ঃড় ঊঞঅ বশঃধ ঃবংঃ ভড়ৎ ভঁঃঁৎব াড়ফ ঢ়ষধঃভড়ৎস. শর্ত ছিল আমাদের, ভঁষষ ঢ়রৎধপু ঢ়ৎড়ঃবপঃরড়হ থাকবে। যা আমাদের হবি ভরষসসধশবৎ এর জন্য জরুরি। কিন্তু বাংলাদেশের সাইবার ক্রিমিনালরা অনেক মেধাবী। ঃরহ ঃধ ষবধশ ভরষব সধঃৎড় ছড়িয়ে দিলো। ভুল সিদ্ধান্ত অবশ্যই ছিল আমাদের, কিন্তু গত দুই দিন যাবৎ ‘লোভী’, ‘প্রতারক’ বলে আমাদের মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছেন যখন, তখন খবর পাই ঝবধঃঃষব ংড়ঁহফ অংরধহ ভরষস ভবংঃরাধষ-ব আয়নাবাজি নবংঃ হধৎৎধঃরাব ভরষস ঊৎ ধধিৎফ পেয়েছে। এটাই আয়নাবাজির প্রথম পুরস্কার কিন্তু আমি পুরস্কার পেয়েছি, এ দেশের মানুষের কাছে যখন ২০টা হল থেকে ৭৪টা হলে নিয়েছেন। আমাদের ভুলের কারণে কষ্ট পেলে আমি মাপ্রার্থী। যে যত গুজব ছড়াক, আমি বলছি আয়নাবাজির একমাত্র পাওয়া আপনাদের ভালোবাসা আর কিছুই আমি পাব না। সবাই ভালো থাকুন। বাংলা সিনেমা দেখুন। যদি আপনাদের আর সহযোগিতা কোনোদিন পাই, সেই দিন পরের সিনেমার ঘোষণা দিব। তার আগ পর্যন্ত আমি বিদায় নিচ্ছি আপনাদের কাছ থেকে… ষড়াব.
এটাই চেতনাব্যবসা
আসিফ রহমান, সমালোচক
অমিতাভ রেজা থেকে নিজেকে খুব চালাক ভাবেন? আপনি কি জানেন আপনার জন্মের আগে থেকে এই লোক মার্কেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত? বলতে রবি টিভিতে দিলে এটা পাইরেটেড হবে এটা সে জানত না? রবি টিভিকে সে একেবারে মাগনা সত্ত্ব দিয়ে দিছে? জ্বি না, সে এত বেআক্কেল না। সে সব জাইনা শুইনাই দিছে। এটা মার্কেটিংয়ের নতুন পলিসি। যেখানে তার কোনো টেনশন নাই, সেখানে আপনি ফেসবুকে নাকের পানি চোখের জল এক করছেন, ‘দেশের সিনেমা ধ্বংস হয়ে গেল’।
মোটামুটি ২৫/২৬ দিন যাওয়ার পর আয়নাবাজি নিয়া আলোচনা কমে আসছিল। এখন নতুন করে আলোচনা দেখানোর প্রয়াস পেল। দেশপ্রেম দেখাতে আবার সিনেমা হলে লাইন লাগবে। আর রবি মাঝখান থেকে ফাও কিছু উপরি তো পাওয়া গেল। সে যখন দেখল, খরচের চেয়ে দশগুণ লাভ উঠে গেছে তখনই খুব মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রবিকে দিছে। লিক হওয়ার পর রবিও বিব্রত হয়ে সরিয়ে নিছে। রবি এখন টাকা ফেরতও চাইতে পারবে না। এখন সে উপরেরটা খাইছে তলারটাও খাবে। আর আপনি স্ট্যাটাস দিয়ে যাবেন, ‘দেশের সিনেমা শেষ, জাতি এত খারাপ কেন, অমিতাভ ভাইয়ের মতো নির্লোভ মানুষটাকে পথে বসাইয়া দিল’। এইটাই চেতনা ব্যবসা।
আমাদের সিনেমা, জয় হবেই
হাসানুজ্জামান সুইট, সমালোচক
আয়নাবাজি পাইরেসি হয়েছে, মানুষ নামের কিছু অমানুষ করেছে। যার ফল ভোগ করতে হবে আপনার আমাকেই, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে! আর্থিকভাবে তি হতেও হবে, সেটাও আমি আপনি রুখতে পারি। এমন হলে ভালো মানের সিনেমা থেকে বঞ্চিত হতে হবে আমাদেরকেই। ব্যয়বহুল বা ভালো মানের সিনেমা তৈরিতে একটা রিস্ক বা ভয় থাকবে। আসুন আমরা এই ভয় বা রিস্কটাকে জয় করে দিই। বলে দিই অমানুষগুলোকে আমরা হলে গিয়েই সিনেমা দেখব। আমাদের গল্প, আমাদের সিনেমা, জয় হবেই।
উচিত হয়নি রবিকে এত জলদি স্বত্ব দেওয়া…
জহিরুল ইসলাম, সমালোচক
আজ সারাদিন অসংখ্য গ্রুপে আয়নাবাজির লিংক এবং ডিরেক্ট আপলোডেড ফাইল দেখলাম, প্রতিটায় রিপোর্ট দিয়েছি, বেশিরভাগ এখন উধাও হয়ে গেছে…। কিন্তু কিছু মানুষ এখনো আছে যারা শেয়ার করেই চলছে…। খুবই কষ্ট লাগল, দেশে ভালো একটা সিনেমা এতদিন পর আমরা দেখতে পেলাম, তাও রবি টিভির কারণে পাইরেসির কবলে পড়ে গেল…। আপনাদের উচিত হয়নি রবিকে এত জলদি স্বত্ব দেওয়া।