দেলওয়ার হোসাইন: দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ, তদানুসারে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অভিযোগকারীকে ফিডব্যাক জানানোর জন্য সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি অধিকাংশ দপ্তরে দুর্নীতি প্রতিরোধে কোন মনিটরিং ব্যবস্থা বা সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ নিরসনে নিয়মতান্ত্রিক কোন পদ্ধতি নেই। এ সমস্যা সমাধান সমাধানের জন্য ১১টি সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুপারিশসমূহ হলো- প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্তৃক দুর্নীতির উৎসের প্রতি অভ্যন্তরীণ নজরদারি বৃদ্ধি এবং এ লক্ষ্যে কাঠোমো স্থাপন। দৃশ্যমান স্থানে অভিযোগ/মতামত গ্রহণের নিমিত্ত অভিযোগ বক্স বা স্থাপনাসহ হটলাইন, ই-মেইল এড্রেস চালু এবং প্রয়োজনমত সেবা উন্নতকরণ সম্পর্কে মতামত বা পরামর্শ দাখিলের সুযোগ। অভিযোগের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থা অভিযোগকারী ও জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে ওয়েবসাইট ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ। কেন্দ্র ও মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান ডেস্ক চালু।
কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য অন্ততঃ একবার দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ বিষয়ক বিধি-বিধান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণের ব্যবস্থাকরণ। ভূমি প্রশাসন ও ভূমি রেজিষ্ট্রেশন একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনয়ন। সেবা প্রদানকারী সংস্থার বিল (বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন ইত্যাদি) ওয়ানস্টপ সেন্টারের মাধ্যমে প্রদানের আশু ব্যবস্থা গ্রহণ। সেবা প্রদানকারী সংস্থার বিল ত্রৈমাসিক/ষান্মাসিক ভিত্তিতে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ। জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য গণশুনানি, সিটিজেন রিপোর্ট কার্ড, কমিউনিটি স্কোর কার্ড ও সোসাল অডিটের ব্যবস্থা গ্রহণ। ধীরে ধীরে মাঠ পর্যায়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম