হাসান আরিফ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, দ্বৈত নাগরিক থাকার পরও যারা এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন, পদ-পদবি চলে যাবে। তিনি বলেন, দ্বৈত নাগরিকদের সাংবিধান এমপি-মন্ত্রী হওয়ার অধিকার দেয়নি। মোটকথা তারা নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে তারা যাতে ভোট দিতে পারেন সে বিষয়টা দেখা হচ্ছে।
গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসীদের গঠিত আওয়ামী লীগের নেতারা সাাৎ করেন। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধি করার দাবি করা হলে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মো. শরিফ, সহসভাপতি আলহাজ এমএ রোহিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার জয়েন সেক্রেটারি মো. গিয়াসউদ্দিন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। এ বিষয়টি আমি দেখব। তবে তারা জনপ্রতিনিধি হতে পারবে না।
এসময় প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান সরকারের জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ, এছাড়া জাপার দুজন এমপিও রয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান সংসদে ১০ থেকে ১২ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন বলেও তারা দাবি করে। আর বিএনপি আমলেও শিক্ষাপ্রতিন্ত্রীসহ বেশকজন ছিলেন। এর জবাবেই মন্ত্রী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন, পদ-পদবি চলে যাবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৭ দশমিক ৩ শতাংশ অর্জিত হবেই হবে। যদিও চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষের কর্মচাঞ্চল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। ফলে হরতালের মতো কর্মসূচি এদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। মানুষজনই এটাকে বিদায় করে দিয়েছেন। এটা অর্থনীতির জন্য শুভ বার্তা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের মধ্যে যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ভিশন ঠিক করেছিলেন, সেটাতে বোধ হয় আমরা পৌঁছে গেছি। এখন ২০১৮ সালে অর্থাৎ আরও তিন বছর পর জাতিসংঘ এ বিষয়ে ঘোষণা দেবে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী ২০ বছরের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হওয়ার যে ল্য নির্ধারণ করেছেন, সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
বৈঠকে প্রবাসী নেতারা প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, ২৫ বছরের নিচে এবং ৬৫ বছরের উপরে বিমানের টিকিটে ছাড় দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানান। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম