রাশিদ রিয়াজ: পাকিস্তান গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে ১০৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। দেশটির আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক আসিম বাজওয়া এ তথ্য দিয়ে বলেছেন ২০১৪ সালের ১৫ জুন পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে ‘জারব-ই-আজব’ শুরু করে তা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ সময়ের মধ্যে পাকিস্তানে অন্তত ৩১১টি বোমা বিস্ফোরণ, ৭৪টি হামলা ও ২৬টি আত্মঘাতী বোমাহামলার ঘটনা ঘটে।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিশেষ অভিযানের উল্লেখ করে আসিম বাজওয়া বলেন, মানবাধিকার রক্ষা করেই সন্ত্রাসের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে তা অব্যাহত রয়েছে। এ অভিযানের ফলে পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান, শাওয়াল, খাইবার এলাকা সেনাবাহিনীর সাহায্যে সন্ত্রাস মুক্ত করা হয়। দুটি অভিযানে খাইবার প্রদেশেই ৯শ সন্ত্রাসী নিহত হয়।
অভিযানের ফলে সন্ত্রাসী এলাকাগুলোতে ৬৬ ভাগ মানুষ তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে গেছে। দায়েস বা ৩০৯ জন আইএস জঙ্গি বলে পরিচিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ১৪শ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে। অভিযান চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৫৩৬ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ২৭২ জন। পাকিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আফগানিস্তান সরকার ও ন্যাটো বাহিনীকে সন্ত্রাস মোকাবিলায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ না নেওয়ার জন্যে দায়ী করা হয়। বলা হয় আফগান সীমান্তে সন্ত্রাস মোকাবিলায় খুবই দুর্বল ব্যবস্থা বিদ্যমান। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসীরা যাতে চলাফেরা করতে না পারে সেজন্যে আরও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করার পরিকল্পনার কথা জানান দেশটির আইএসপিআর-এর ডিজি। ডন /এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু