আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে কয়েকটি সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ফোরিডা। ডেমোক্রেট দল ও রিপাবলিকানরা এ রাজ্যটিকে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। তাই এখানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন হিলারি কিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএন
সিএনএন/ওআরসির জনপ্রিয়তার সূচকে হিলারি এগিয়ে আছেন শতকরা মাত্র ৩ ভাগ। তাকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৪৬ ভাগ ভোটার। ট্রাম্পকে ৪৩ ভাগ। এ অবস্থায় সেখানে কয়েক সপ্তাহ আগেই মেইলের মাধ্যমে আগাম ভোট নেওয়া শুরু হয়ে গেছে। এরই মধ্যে এ প্রক্রিয়ায় লাধিক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু সোমবার শুরুর দিকেই সেখানে সরাসরি আগাম ভোট নেওয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত আগাম ভোট দিয়েছেন ৬০ লাখেরও বেশি মার্কিনি। নির্বাচনের দিন অর্থাৎ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এভাবে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিনি ভোট দেবেন, যা হবে মোট ভোটারের শতকরা ৪০ ভাগ। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ট্রাম্পের চেয়ে জাতীয় ও বেশ কয়েকটি সুইং স্টেটে বেশ এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি। সুইং রাজ্যগুলোর মধ্যে আরিজোনা, জর্জিয়া, ইউটাহতে শক্ত ঘাঁটি রয়েছে রিপাবলিকানদের। তবে এ রাজ্যগুলোতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কাছাকাছি রয়েছেন দুপ্রার্থী। এ অবস্থায় সোমবার সেন্ট অগাস্টিনে এক র্যালিতে ট্রাম্প বলেছেন, আমরা বিজয়ী হচ্ছি। এদিনও তিনি মিডিয়াকে দোষারোপ করেন। তিনি মিডিয়াকে ‘থিভস অ্যান্ড ক্রুকস’-এর সমন্বয় বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, এরা হিলারির মতো। তিনি পুরো ব্যবস্থাকে দুর্নীতিপরায়ণ, জালিয়াতিপূর্ণ ও ভেঙে পড়া বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি জন পোডেস্টার ইমেইল হ্যাক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে তার সমালোচনা করেন। বলেন, হিলারির প্রচারণাবিষয়ক চেয়ারম্যান পোডেস্টার ইমেইল বলে দেয় তিনি কিভাবে নির্বাচনে জালিয়াতির পরিকল্পনা নিয়েছেন। এ সময় তিনি হিলারি কিনটনেরও সমালোচনা করেন। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ