পরাগ মাঝি: পানাসক্তিজনিত কারণে পৃথিবীতে প্রতিবছর প্রায় ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। সারা পৃথিবীজুড়ে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, পুরুষ মদ্যপায়ীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নারীদের সংখ্যাও। গবেষকরা দেখেছেন, ১৮৯১ সাল থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে যারা জন্মেছিলেন সে সময়ের নারীদের চেয়ে পুরুষরা তিনগুণ বেশি হারে মদ্যপায়ী ছিল। কিন্তু ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে যারা জন্মেছেন তাদের মধ্যে মাত্র ১.২ গুণ পুরুষ নারীদের চেয়ে বেশি মদ্যপান করে। এ থেকেই বোঝা যায়, সংখ্যার দিক থেকে পুরুষ মদ্যপায়ীদের সঙ্গে নারীরা তাদের ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন। গবেষকরা দেখেছেন, গত শতক থেকেই মদ্যপানের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য কমতে শুরু করে। ১৯৬৬ সালের পর যারা জন্মেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ প্রবণতা বেশি। ‘বিএমজে ওপেন জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক লেখায় গবেষকরা বলেন, পানাসক্তি এবং পানাসক্তিজনিত অসুস্থতার প্রপঞ্চগুলো ঐতিহাসিকভাবেই পুরুষের দখলে ছিল। কিন্তু গবেষণা এ অনুমান নির্ভর তথ্যকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। তাদের মতে, এ ধরনের বস্তু গ্রহণ এবং এ থেকে ক্ষতিকর প্রভাবকে ঠেকাতে তরুণীদের উপরও আমাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। যথোপযুক্ত স্বাস্থ্যনীতির প্রয়োগ ঘটাতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানাসক্তির ক্ষেত্রে লিঙ্গ ব্যবধান কমে যাওয়ার ব্যাপারটিকে আলোচনায় নিয়ে আসতে হবে।
গবেষকরা জানান, ১৮৯১ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে পানাসক্তির ক্ষেত্রে প্রতি পাঁচ বছরে ৪.২ শতাংশ হারে নারী-পুরুষের ব্যবধান কমেছে। যদিও ১৮৯১ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সময়ের ক্ষেত্রে বিবেচনা করলে প্রতি পাঁচ বছরে ব্যবধান কমার হার ১.২ শতাংশ। আর ১৯৬৬ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে বিবেচনা করলে এ হারটি ছিলো ১০.১ শতাংশ। গবেষকরা তাদের অনুসন্ধানে সর্বনি¤œ ১৫ বছর বয়সীদের বিবেচনায় রেখেছিল। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম