এম রবিউল্লাহ: ভারতের ১৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক অনেক মানসিক সমস্যায় ভুগছে। তাদের প্রয়োজনীয় সেবা ও চিকিৎসা করানোর প্রয়োজন। ২০১৬ সালের একটি প্রতিবেদনে ভারতের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ এ তথ্য জানিয়েছে।
জরিপে তামিলনাড়–, কেরালা, গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, ঝাড়খন্ড, পশ্চিমবঙ্গ, মনিপুর ও আসামের ৪০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২০০ কিশোর বয়সীকে নিয়ে চালানো হয়। জরিপের তথ্য অনুযায়ী কর্নাটকের প্রায় ৮ শতাংশ নাগরিক মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে। এ রাজ্যের ১৩ থেকে ১৭ বছরের বয়সীদের মানসিক সমস্যা রয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন বলেও পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জরিপে ৩০ থেকে ৪৯ বা ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের রাখা হয়। শহুরে নাগিরকদের মধ্যে মানসিক সমস্যা বেশি পাওয়া যায়। এছাড়া কম আয় ও বেশি শিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে এ ধরনের সমস্যা বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির পরিচালক ডা. বিএন গঙ্গাধর।
জরিপে আর উঠে আসে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন কমন বা সাধারণ মানসিক সমস্যায় রয়েছেন। এগুলোর মধ্যে হতাশা, রাগান্বিত হওয়া, ধন-সম্পদ ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ অন্যতম। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে হতাশাই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় বলেও জানার গঙ্গাধর।
জরিপে আরও দেখা যায়, পুরুষের চেয়ে অধিকাংশ নারীদের মধ্যে ভীতি ও উত্তেজিতভাব দ্বিগুণ। মনোরোগ রয়েছে প্রায় ২ শতাংশ নাগরিকের। ১৮ বছরের অধিক বয়সীদের মধ্যে ৪.৬ শতাংশ অ্যালকোহল গ্রহণ করার প্রবণতা রয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির বিষয় হলো, ভারতের ০.৯ শতাংশ নাগরিকের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে। মাত্র এক চতুর্থাংশ মানসিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। মানসিক চিকিৎসার জন্য ১ হাজার রুপি থেকে ২৫০০ হাজার রুপির প্রয়োজন যা ভারতের অধিকাংশ নাগরিকরা দিতে অসক্ষম। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম