আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোটে সুবাতাস লেগেছে হিলারি ক্লিনটনের পালে। এরই মধ্যে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ৯০ লাখেরও বেশি ভোটার আগেভাগে ভোট দিয়ে ফেলেছেন। ২০১২ সালের তুলনায় এ সংখ্যা এখনও কম হলেও যে তথ্য মিলেছে তাতে হিলারি শিবির স্বস্তিতে থাকতেই পারেন। এমন পূর্বাভাস দিয়ে বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক সাংবাদিক অ্যান্থনি জারচার বলেছেন, ফ্লোরিডায় মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দলের প্রার্থীরা। এটা হিলারি ক্লিনটনের জন্য একটি শুভ লক্ষণ। অতীতের নির্বাচনগুলোর চেয়ে ডেমোক্রেটরা উল্লেখযোগ্য ভাল করছে কলোরাডো ও নেভাদায়। এটা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিনেটর ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারির জন্য একটি সুখবর। তবে বিপরীত অবস্থা বিরজ করছে আইওয়াতে। এখানে অবশ্যই জেতা উচিত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। অন্যদিকে ওহাইওর বড় বড় শহরে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও সেটা রিপাবলিকানদের জন্য সুখবর হতে পারে। তবে এ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এখনই বলা যাচ্ছে না যে, এই নির্বাচনে কি পরিমাণ ভোটার এক দল থেকে এসে অন্যদলের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তবে সুইং স্টেট বলে পরিচিত এ রাজ্যগুলোতে ডেমোক্রেটদের ভাল করার কারণ আছে। তারা তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করেছে। বেশির ভাগ ভোটারের দরজায় নক করে ভোট চেয়েছে। ফোনে ভোটারের সঙ্গে কথা বলেছে। প্রচারণা বিষয়ক জিনিসপত্র বিলি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দলীয় চিহ্ন। প্রার্থীর প্রতিকৃতি। স্টিকার প্রভৃতি। এসব করা হয়েছে একটা উদ্দেশ্যকেই সামনে রেখে। তাহলো তাদের যেন মন বিগলিত হয়। তারা যেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারিকে ভোট দেন। সমালোচকরা বলছেন, ডেমোক্রেটদের এই চাল ধরতে পারে নি রিপাবলিকানরা। সোমবার এ বিষয়েই নেভাদায় কথা বলেছেন রিপাবলিকান দলের এক কর্মকর্তা। তারা ডেমোক্রেটদের মতো প্রচারণার গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ