আরিফ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার খরচ আকাশচুম্বী। সে অনুযায়ী অর্থের যোগান নিশ্চিত করতে হয় প্রার্থীদেরই। যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে, এর বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা থাকলেও ভোটের মাঠে এখনও তা কার্যকর। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর.
প্রার্থী বাছাই থেকে চূড়ান্ত মনোনয়ন ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই, যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের মাঠের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করতে হয় প্রার্থীদের। যার সবচেয়ে বড় যোগানটা আসে দেশটির কর্পোরেটদের কাছ থেকে। নির্বাচনি আইন বিশেষজ্ঞ রিক হ্যাসেন ‘ফ্লুক্র্যাটস ইউনাইটেড’ বইতে লেখেন, মার্কিন নীতিতে জনমানুষের দল কিংবা সাধারণ জনতার প্রভাব সামান্য অথবা নেই। তবে কোটিপতি আর কর্পোরেটদের প্রভাবটাই মূল। এর কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রার্থী বাছাইয়ে ডেমোক্রেট দলে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়েছিলেন বার্নি স্যান্ডার্স। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রার্থী মনোনীত হন হিলারি।
আইনজীবী ও আইনবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো হিলারির নির্বাচনি প্রচারে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার অর্থায়ন করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিনিয়োগকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান তার নির্বাচনি প্রচারে দিয়েছে ৪০ লাখ ডলার। এছাড়া বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ছায়া ব্যাংক হিসেবে ঢালছে অর্থ। তাকে সমর্থন করছে, বিলিয়নার ব্যবসায়ী মার্ক কিউবানের মতো ধনকুবের।
অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিচেই একজন ধনকুবের। ভোটের মাঠে নামার আগেই এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার খরচের ঘোষণা দেন। এজন্য ঋণও করেছেন বেশ। তবে রিপাবলিকান দলের নির্ভরযোগ্য অনেক দাতাই তার প্রতি তেমন আগ্রহী নন। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী শেলডন অ্যাডেলসন ও তার স্ত্রী মিরিয়াম রিপাবলিকান সিনেটরদের জন্য ২ কোটি ডলার দান করলেও ট্রাম্পের খাতায় যোগ করতে পারেন মাত্র ৫০ লাখ ডলার। সেটিও নিশ্চিত নয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ