যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীর চুল কেটে মাথা ন্যাড়া
মো. আব্বাস উদ্দিন, ঝিনাইগাতী (শেরপুর): শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামের মো. রহিম বাদশার মেয়ে মাজেদা খাতুন (২৫)-কে ৫ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে ওই গ্রামের মো. আনসার আলীর ছেলে খোরশেদ আলম। বিয়ের ৫ বছরে ২টি ছেলে সন্তানের জননী হয়ে যায় মাজেদা। মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় তার উপর অমানবিক নির্যাতন।
সম্প্রতি যৌতুকের জন্যে স্বামী, শাশুড়ি ও তার ননদরা ১০ হাজার টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্যে চাপ দেয়। ইতোপূর্বে সংসার শান্তির জন্য মাজেদা বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসাবে নিয়ে আসে। তারপরও স্ত্রী মাজেদাকে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি সবাই মিলে প্রায়ই মারধর ও নির্যাতন করে আসছে। পুনরায় মাজেদাকে যৌতুকের টাকা আনতে বললে সে অস্বীকার করলে তার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। একপর্যায়ে ঘরের ভিতরে আটকে মারপিট করে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদরা মিলে মাজেদার মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দিয়ে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এঘটনায় মনে হয় বর্বর যুগের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। গৃহবধূ মাজেদা খাতুন পিত্রালয়ে এসে ঘটনার বিস্তারিত পিতা-মাতা ও এলাকাবাসীকে জানান।
নির্যাতিতা মাজেদা খাতুন এলাকায় কোনো বিচার না পেয়ে অবশেষে থানায় মামলা করতে বাধ্য হয়। ২৪ অক্টোবর রাতে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এব্যাপারে ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্পাদনা : তারেক