ভুয়া প্রশ্ন সর্বোচ্চ তিন লাখে বিক্রি হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
দেলওয়ার হোসাইন: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্ন সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস করার কিছু পেশাদার লোক আছে, তারা দীর্ঘদিন থেকে এ কাজ চালিয়ে আসছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট
(জেডিসি) পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আয়োজিত সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভর্তিপরীক্ষার একটি চক্রকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরেছে, যারা ভুল প্রশ্ন প্রচার করেছে। মজার বিষয় হলো, ওই প্রশ্নই তারা বিক্রি করেছে পাঁচ হাজার থেকে তিন লাখ টাকায়। যদিও কবে, কারা, কোন পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্ন এত টাকায় বিক্রি করেছে, তা বলেননি মন্ত্রী। নাহিদ বলেন, এ প্রতারক চক্রের একটি উদ্দেশ্য হলো- প্রশ্ন ফাঁস করে কিছু আয় করা। আবার সরকারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেও প্রশ্ন ফাঁসের চেষ্টা করা হয়। দেখা যাচ্ছে, আসল প্রশ্ন যেহেতু বের করতে পারে না, তাই নকল প্রশ্ন বের করছে। যারা ভুয়া প্রশ্ন বিক্রি করে, তাদের সবাইকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। কোচিং সেন্টারগুলোতেও নজরদারি করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার মান যাচাই করা যাবে না। ভর্তিপরীক্ষার উদ্দেশ্যই থাকে পরীক্ষার্থীকে বাদ দেওয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে একটি আসনের বিপরীতে ৪০ জনের আবেদন করার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখানে পাস-ফেলের ব্যাপার নেই। এক ঘণ্টায় তারা বাছাই করছেন কীভাবে ৩৯ জনকে বাদ দেওয়া যায়। ৩৯ জনকে বাদ দেওয়ার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের গুণগত মান বাড়ছে না বলে যারা বলছেন, তারা সঠিক বলছেন না। মান বাড়ছে। তবে যা বাড়া উচিত, সেটির জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। সে জন্য আমাদের সেই মানের শিক্ষক দরকার। সার্বিক ক্ষেত্রে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। জেএসসি-জেডিসির প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি এখন আর আগের মতো নেই। বলা যায় নকলমুক্ত পরীক্ষা। তবে ছোটখাটো ভুলত্রুটি থাকতে পারে, সেটা অন্য জিনিস। আগামী ১ নভেম্বর শুরু হবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। শেষ হবে ১৭ নভেম্বর। সম্পাদনা: রিকু আমির